অন্যান্য সেলিব্রিটিদের থেকে ভিন্ন তিনি। তাঁর নাম এ আর রহমান, অস্কার দরজার হাতল হিসাবে ব্যবহার করেন না কখনোই। ফিল্ম কম্প্যানিয়নের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে , সঙ্গীত পরিচালক প্রকাশ করেন যে প্রয়াত মা কারিমা বেগম তাঁর সমস্ত আন্তর্জাতিক পুরষ্কারগুলি তাঁর দুবাইয়ের বাড়িতে সংরক্ষণ করেছিলেন এবং সেগুলিকে একটি তোয়ালে জড়িয়ে রেখেছিলেন কারণ তিনি ভেবেছিলেন সেগুলি সোনার তৈরি।
আরও পড়ুন: (‘রণবীরই সন্তানের বাবা তো?’, দীপিকার বেবি বাম্পকে বলা হল ‘ভুয়ো’, নেটপাড়ায় শুরু হৈচৈ)
এই বিষয়ে সুরের জাদুকর জানান, ‘আমি দুবাইতে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার রেখেছি কারণ এটি একটি তোয়ালে মোড়ানো ছিল… আমার মা তোয়ালে জড়িয়ে রেখেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন এটা সোনা। তাই তিনি মারা যাওয়ার পর, আমি তাঁর ঘর থেকে ওই পুরষ্কারগুলি নিয়ে আমি দুবাই ফিরদৌস স্টুডিওতে গিয়ে রেখেছিলাম। সেগুলি একটি সুন্দর শোকেসে ফেরদৌস স্টুডিওতে রাখা রয়েছে’। তিনি ড্যানি বয়েলের ২০০৮ সালের চলচ্চিত্র স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের জন্য দুটি অস্কার, দুটি গ্র্যামি, একটি বাফটা এবং একটি গোল্ডেন গ্লোব জিতেছিলেন, বিশেষ করে গুলজারের লেখা ও সুখবিন্দর সিং-এর গাওয়া জয় হো গানটির জন্য।
ইতিমধ্যে, দেশে ফিরে, রহমান তার কৃতিত্বের জন্য অন্যদের মধ্যে ছয়টি জাতীয় পুরস্কার এবং ৩২টির বেশি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (বলিউড + দক্ষিণ) পেয়েছেন। তিনি একই সাক্ষাত্কারে প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি ভারতীয় পুরষ্কারগুলি তার নিজের শহর চেন্নাইতে একটি বিশেষ ঘরে সংরক্ষিত করেন।
আরও পড়ুন: (আসিনের জন্য একটি প্লেন স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখেছিলেন অক্ষয়, কী সম্পর্ক ছিল দুজনের)
নিজের জীবনে মায়ের অবদান প্রসঙ্গে রহমান জানিয়েছিলেন, ‘ ‘যখন আমি আমার স্টুডিও তৈরি করি, তখন আমার কাছে একটি অ্যাম্প্লিফায়ার বা ইকুয়ালাইজার কেনার জন্য টাকা ছিল না। একটি তাক ,কার্পেট আর একটি এসি ছিল। কিছু কেনার টাকা না পেয়ে বসে থাকতাম।কোনও সরঞ্জাম ছাড়াই ভিতরে বসে থাকতাম। আমার মা তার গয়না বন্ধক রেখে আমার প্রথম রেকর্ডার কিনে এনেছিল।ভিতর থেকে শক্তি চলে আসে তখনই, আমি আমার ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছিলাম, সেই মুহূর্তে আমি বদলে গেলাম’। ২০২০ সালে মা কে হারান এ আর রহমান।
১৯৯২ সালে তামিল ছবি ‘রোজা’-র হাত ধরে তাঁর প্রথম ভারতীয় ছবিতে কাজ। এরপর ১৯৯৫ সালে রাম গোপাল ভর্মা পরিচালিত ‘রঙ্গলীলা’ তে সঙ্গীত পরিচালনা করে তিনি শুরু করেন তাঁর প্রথম বলিউড ডেবিউ।