মাইক হাতে মঞ্চে ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটা সবে ধরেছেন এআর রহমান। সোজা মঞ্চে উঠে পড়ল পুলিশ। অঙ্গুলি হেলনের মাধ্যমে কড়া নির্দেশ এখন গান বন্ধ করুন। শুরুতে ব্যাপারটা কেউই বুঝে উঠতে পারেননি। এরপরই গটগটিয়ে মিউজিশিয়ানদের কাছে গিয়ে বাজনা বন্ধ করেন পুণে পুলিশের এক কর্তা। ততক্ষণে চিৎকার শুরু করেছে দর্শক। হ্য়াঁ, রবিবার এআর রহমানের পুণে কনসার্টে ধরা পড়ল এমনই অদ্ভূত দৃশ্য! কিন্তু কী কারণে অস্কার জয়ী সঙ্গীত পরিচালকের গান থামিয়ে দিল পুলিশ?
নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়াতেই তড়িঘড়ি কনাসার্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে ওই কনসার্টের জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত সময় নির্দিষ্ট ছিল। তবে ঘড়ির কাঁটা যে ১০টা পেরিয়ে গেছে তা খেয়াল করেননি শিল্পী। রাত সোয়া ১০টা গান শেষ গানটি ধরেছিলেন রহমান, তাই মঞ্চে উঠে সরাসরি গান বন্ধই করেছিল পুলিশ। পুণের রাজা বাহাদুর মিল এলাকায় আয়োজিত কনসার্টে হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন গতকাল (রবিবার) রাতে। এই ঘটনার হতবাক সলকেই।
পুলিশের কাছ থেকে গান বন্ধ করার নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি স্টেজ ছাড়েন রহমান। রহমানের এই কনসার্ট ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। এলাকায় একাধিক হাসপাতাল থাকায় ‘সাইলেন্ট জোন’ হিসাবে বিবেচ্য সেটি। ওই এলাকায় কেন গানের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হল? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার কনসার্ট মাঝপথে থামিয়ে বিতর্কে পুণে পুলিশ।
এআর রহমানের মতো শিল্পীর কনসার্ট এইভাবে মাঝপথে বন্ধ করাটা ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই। সেই প্রসঙ্গে পুণে পুলিশের ডিসিপি (জোন ২) এস পাতিল জানান, ‘রহমান শেষ গানটি গাইছিলেন। গাইতে গাইতে উনি খেয়াল করেননি ১০টা বেজে গিয়েছে। কনসার্ট ভেনুতে আমাদের যে পুলিশ আধিকারিক ছিলেন বাধ্য হয়ে উনি স্টেজে উঠে ওঁনাকে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনের কথা মনে করিয়ে দেন এবং উনি গান বন্ধ করেন’।
সোমবার পুণে কনসার্টের ছবি পোস্ট করে রহমান অনুরাগীদের কথা দিয়েছেন, ‘শীঘ্রই দেখা হবে’। পাশাপাশি ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি ‘মোজার্ট অফ মাদ্রাজ’।
লোকমতে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুণে পুলিশের সাময়িক জেরার মুখেও পড়তে হয় রহমানকে। নির্ধারিত সময় (রাত ১০টা) পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন গান থামাননি তিনি? সেই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় রহমানের কাছে। পুলিশের তরফে সাফাই মিললেও নেটিজেনরা খুশি নয় রহমানের সঙ্গে এহেন আচরণে। দেশের নাম উজ্জ্বল করা সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে আরেকটু সংবেদনশীল ব্যবহার করতে পারত পুলিশ, দাবি নেটপাড়ার অনেকের।