একটুর জন্য সারেগামাপা-র ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে বাঁকুড়ার ভাদুলের মেয়ে আরাত্রিকা সিনহার। ফাইনালে পৌঁছলেও প্রথম তিনে থাকতে পারেননি। তবে জিতে নিয়েছেন কালিকাপ্রসাদ অ্যাওয়ার্ড। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে আরাত্রিকার বাবা সৌম্য সিনহা দাবি করেন, ‘মানি, তোকে বাঁকুড়া বইমেলায় গান গায়তে দেয়নি, খাদ্যমেলাতেও তোর নাম থেকেও বাদ গেছে, তথ্য সংস্কৃতি দফতর হয়তো জানেইনা তুই গান করতে জানিস। সবটা শুধু দেখে গেছি। …অনেকে তোকে (আরাত্রিকাকে) গণসঙ্গীত শিল্পী বলে দাগিয়ে দিয়েছিল,তোর পিঠে সেঁটে দিয়েছিল পার্টির স্ট্যাম্প..’। যদিও এসবই এখন অতীত। সারেগামাপা-র পর সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে আরাত্রিকা। এরই মাঝে একটি সিনেমার জন্য প্লেব্যাকও করে ফেলেছেন তিনি।
সারেগামাপা-র সফরেও কম ওঠাপড়ার মুখে পড়তে হয়নি আরাত্রিকাকে। একসময় তিনি শুধু গণসংগীত গান দাবি তুলে ট্রোল করা শুরু করে একাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে। এখানেই শেষ নয়, ৯ মাসের সফরের কিছুটা সময়, বিচারকরাও হতাশ হচ্ছিলেন আরাত্রিকার পারফরমেন্সে। শুনতে হচ্ছিল সমালোচনা। তবে ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে, নিজের গায়িকিকে শুধরে আরাত্রিকা পৌঁছন ফাইনালে। এবার সেই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কথা বললেন বাবা-মেয়ে দুজনেই।
আরও পড়ুন: ‘শ্বেতার সন্তান হয়ে গেছি…’, আদর-যত্নে মুড়ে রাখছে বউ, সোনার সংসারের ব্যাকস্টেজে কী ফাঁস করলেন রুবেল?
প্রথম থেকেই আরাত্রিকার সংগীতের সফরে দেখা গিয়েছে বাবা সৌম্যকে। Bengali Music Directory নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বললেন, ‘আমার মনে হয় জি বাংলা আরাত্রিকাকে একটা পরীক্ষা নিচ্ছিল। গণসংগীত-রবীন্দ্র সংগীতের পাশাপাশি, অন্য গানে ও সাবলীল কি না! দু-একটা গান, ও যে লেভেলে গায়, সেই লেভেলে গাইতে পারেনি। এবার পারেনি তারও কারণ আছে। পুজোর ছুটির পর দার্জিলিং থেকে ঘুরে এসে ওর জ্বর হয়, গলা খারাপ হয়। একটা টেনশন ওকে কুড়েকুড়ে খাচ্ছিল। সেই টেনশনে ওর গান নষ্ট হয়েছে। দেখো আলোয় আলোয় আকাশ গানটা যেমন ও ৫ বছর থেকে গায়। ওই টেনশনে আসলে ওর গান গাওয়াটা নষ্ট হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বাবার উপর চিৎকার করে মা, শুনেই ডান্স বাংলা ডান্সে ফুট কাটল নীলাঞ্জনার-বর যিশু, ‘একদম আমার…’
‘আরেকটা কথা বলতে দ্বিধা নেই, ওর কিছু গান অসাধারণ হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে গোল্ডেন গিটার পায়নি। ‘ও গানওয়ালা’ যা গেয়েছিল, তাতে তো ওর পারফরমার অফ দ্য ডে হওয়ার কথা। কিন্তু ও বিচারকদের কাছেই ১০-এ ১০ পায়নি। হয়তো বিচারকদের খুশি করতে পারেনি। ওঁরা আমাদের থেকে অবশ্যই বেশি বোঝেন। এই যে ভালো পারফরমেন্সের পর, ও গোল্ডেন গিটার পাচ্ছিল না, এতে হয়তো ও ডিস্ট্রাক্ট হয়েছিল। এটা ভাবতে ভাবতে হয়তো হয়তো নেক্সট পারফরমেন্স গুলো খারাপ হয়েছিল। এটা আমার মনে হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ননদ সৌন্দর্যে দেন টেক্কা, কম বড়লোক নয় দীপিকার শ্বশুর-শাশুড়িও, কী করেন তাঁরা?
বাবার পাশে থাকা আরাত্রিকা জানান,পুজোর পর সেই ঠান্ডা লাগার সময় তিনি ১৮-২০দিন গান গাইত পারেননি। গ্রুমিং করতে যাচ্ছিলেন, কাশি চলে আসছিল। এরপর স্বাভাবিকভাবেই প্র্যাকটিস করতে না পারার কারণে, সেই পারফরমেন্স খারাপ হয়। তারপর ওই চাপে আরও একটা। এভাবে বেশ কিছুদিন টালমাটাল চলেছিল।