বলিউড এবং নেপোটিজম বিতর্ক এই দুই যেন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে। এই বিতর্ক যেন কোনও দিনই থামবার নেই। এবার এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুললেন আরবাজ খান এবং সোহেল খান। সেখানে তাঁরা বিনোদন জগতের নেপোটিজম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাফ জানিয়ে দেন একজন অভিনেতা বা শিল্পীর যেটা প্রাপ্য সম্মান, সাফল্য সেটা সম্পূর্ণ ভাবে তাঁর পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়। এটা ঠিক নয়। এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো আরবাজ খান এবং সোহেল খান তাঁরা হলেন জনপ্রিয় চিত্রনাট্য লেখক সেলিম খানের ছেলে এবং সলমন খানের ভাই।
নেপোটিজম নিয়ে কী বললেন আরবাজ এবং সোহেল?
টাইমআউট উইথ অঙ্কিতকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি নেপোটিজম নিয়ে কথা বলেন আরবাজ খান এবং সোহেল খান। সেখানে আরবাজ জানান যে 'তোমার বাবা যদি কোনও একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডের বেশ পরিচিত হন তাহলে তোমার জন্য হয়তো সহজে কিছু দরজা খুলে যেতে পারে। আর সেটা বিনোদন জগতেই যে হয় কেবল সেটা নয়। এটা সর্বত্রই ঘটে। তোমার বাবা ডাক্তার, উকিল যাই হন না কেন, তিনি তাঁর পেশায় তোমায় কিছুটা হলেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারবেন। তেমন ভাবেই অভিনেতাদের জন্য, তাঁদের বাবা যদি এই জগতের কেউ হন তাহলে তাঁর হাত ধরে কারও সঙ্গে দেখা করা যেতে পারে। কিন্তু সেটার অর্থ এটা নয় যে তুমি কাজ পাবেই।'
আরও পড়ুন: 'এত বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ো না তো', আচমকাই মেয়ের উপর মেজাজ হারালেন রাগী আন্টি জয়া!
তিনি এদিন আরও জানান এটা হয়তো কাউকে প্রথম সুযোগটা দিতে পারে, কিন্তু কারও কেরিয়ার গড়ে দিতে পারে না। তাঁর কথায়, 'আমি আর সোহেল হয়তো অতটা সফল নই যেমনটা আমাদের ভাই সলমন খান। কিন্তু যেটা ম্যাটার করে যে আমরা এখনও এখানে টিকে আছি। আমরা কাজ করছি। এখানে কেউ কারও জন্য কোনও ফেভর করে না।'
আরবাজ খানের কথায় এদিন বলিউডের বৈচিত্রের কথাও উঠে আসে। তিনি জানান 'যতই বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতা পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ থাক না কেন, বা যুক্ত হন না কেন, দর্শক যদি আপনার কাজ ভালো না বাসে তাহলে কেউ তোমায় কোনও চরিত্র দেবে না। তাই এটা বলা অনর্থক যে কোনও অভিনেতা সফল হলেই সেটা তাঁর যোগাযোগ আছে বলে, বা সে নেপোটিজমের ফায়দা তুলেছে বলে হয়েছে। সুপারস্টারদের লাগাতার দশটা ছবি ফ্লপ করতে পারে। তখন তাঁরা নিজেরাই বুঝে উঠতে পারে না যে কী করবে আর কী নয়।'
আরও পড়ুন: ‘হাউজফুল ৫’-এর কমেডির ডোজ বাড়ল বলে! অক্ষয়-রীতেশদের সঙ্গে যোগ দিলেন অনিল-নানা পাটেকর
প্রসঙ্গত আরবাজ খান গত বছরের একদম শেষ দিকে বিয়ে করেন। মালাইকা আরোরা খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর জর্জিয়ার সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি বেশিদিন। এরপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে তিনি বলিউডের বিখ্যাত মেকআপ আর্টিস্ট সুরা খানকে বিয়ে করেন।