একসময় বলিউডের পাওয়ার কাপলদের তালিকায় নাম ছিল আরবাজ খান এবং মালাইকা আরোরার। দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল দুজনের। ১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আরবাজ এবং মালাইকা। তাঁদের একমাত্র ছেলের নাম আরহান খান। ২০১৭ সালে আইনি মতে বিচ্ছেদ করেন আরবাজ এবং মালাইকা।
ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালক হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ার চেষ্টায় আরবাজ। অন্যদিকে, সাহসী চরিত্রে অভিনয় এবং নিজের নাচের দক্ষতার জন্য বলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন মালাইকা আরোরা। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে ধীরে ধীর তিক্ততা আসতে শুরু করে তাঁদের মধ্যে। তাই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন প্রাক্তন তারকা দম্পতি। বিচ্ছেদ হলেও নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন প্রাক্তন এই দম্পতি। ছেলের দায়িত্ব দুজনেই নিয়েছেন।
মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন আরবাজ। ২০০২ সালে জন্ম তাঁদের একমাত্র ছেলে আরহানের। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে নিজের মনের কষ্ট উজার করে অভিনেতা-পরিচালক বলেন, ‘আমার ছেলে আরহানের জন্য এটি একটি কঠিন পদক্ষেপ ছিল। যদিও সেই সময়ে মালাইকার থেকে আলাদা হওয়া আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।’
মালাইকার জীবনে না থাকলেও তিনি সবসময় একমাত্র ছেলের আরহানের পাশেই রয়েছেন বলে জানান। আরবাজ বলেন, ‘এখন মালাইকা আমার সঙ্গে নেই। কিন্তু আজও আমি আমার ছেলের জন্য সবসময় প্রস্তুত। আরহানের হেফাজত মালাইকার কাছে থাকতে পারে, তবে আমি ওর কাস্টডি পাওয়ার জন্য কখনও লড়াই করিনি। কারণ আমার বিশ্বাস, একজন মায়ের চেয়ে ভালো করে তার সন্তানকে আর কেউ বড় করতে পারে না। এই অবস্থায় আরহানের লালন-পালন নিয়ে কোনও প্রশ্নই তুলেতে পারি না।’
তাঁদের বিচ্ছেদের সময় আরহানের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। তাই বিষয়টা আগে থেকেই সবটা বুঝতে পেরেছিল তাঁদের ছেলে বলে জানান অভিনেতা। আরবাজের কথায়, 'আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ওর কাছে অবার হওয়ার মতো কিছু ছিল না। আসলে, বাবা-মায়ের মধ্যে কী টানাপোড়েন চলছে,তা তাঁদের সন্তানরা প্রথম জানতে পারে। তাই আরহানের পক্ষেও এটা তেমন বড় বিষয় ছিল না।’
উল্লেখ্য, ১৮ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানার পর অভিনেতা অর্জুন কাপুরকে ডেটিং শুরু করেন মালাইকা আরোরা। অন্যদিকে, ইতালিয়ান মডেল জর্জিয়া অ্যান্ড্রিয়ানির সঙ্গে আরবাজ খানের সম্পর্ক নিয়েও চর্চার শেষ নেই। মালাইকার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরই নাকি জর্জিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন আরবাজ। বলিউডে কান পাতলে এমনই গুঞ্জন শোনা যায়।