১৯৮০ সালে অভিনেত্রী হেলেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন প্রবীণ চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। সালমা খানের সঙ্গে আগে থেকেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন সেলিম। বলিউড বাবলকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে আরবাজ খানের মুখোমুখি হয়ে হেলেন জানিয়েছেন, তিনি পরিবারের বিচ্ছেদ চাননি, কারণ সালমার প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা ছিল।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আরবাজ হেলেনকে ‘অন্য নারী’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। যোগ করেছিলেন, ‘আপনি কখনই আমার বাবাকে ছেড়ে যাননি’। পাশাপাশি বাবা-মা এবং হেলেন, গোটা পরিবারকে একত্রে রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শুরু থেকেই সালমার জন্য আগাধ শ্রদ্ধা ছিল হেলেনের মনে। এ বিষয় কথা বলতে গিয়ে প্রবীণ অভিনেত্রী বলেছেন, ‘জানো প্রথম দিকে কী করতাম, আমি ব্যান্ডস্ট্যান্ড দিয়ে তোমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যেতাম এবং আমি জানতাম যে তোমাদের মা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, আমি গাড়ির ভিতর আমার মাথাটা নীচু করে নিতাম, যেন সে আমাকে দেখতে না পায়। যেন গাড়িটি খালি মনে হয়। আমি তাঁকে অনেক সম্মান করতাম’।
আরবাজ খান তাঁর চ্যাট শোতে, পরিবারকে একসঙ্গে রাখার জন্য তাঁর বাবা-মা সেলিম এবং সালমা খান এবং সেলিমের দ্বিতীয় স্ত্রী হেলেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হেলেন প্রসঙ্গে ছেলেমেয়েদের কাছে কেমন ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সেলিম খান, এ বিষয় কথা বলতে গিয়ে আরবাজ জানিয়েছেন, ‘তিনি আমাদের বলেছিলেন, আমি কখনই আশা রাখি না তোমারা তোমাদের মাকে (সেই সময়ে) যতটা ভালোবাসো ততটা ওঁকেও ভালোবাসবে। কিন্তু ওঁকে সমান সম্মান দিও’।
আরবাজ বলেছিলেন যে হেলেন এবং সালমার সম্পর্ক সেই সময় এখনের মতো ছিল না, সালমাই প্রথম ব্যক্তি যিনি হেলেনকে দেখিয়েছেন, তিনি পারিবারিক গণ্ডির মধ্যে যেন না আসেন। এরপরই অভিনেতা বলেন, 'তবে এখন এমন একটা পর্যায়, যখনই কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠান বা সাধারণ মধ্যাহ্নভোজের কথা ওঠে, আপনার কাছে প্রথম ফোনটা আমার মায়েরই আসে। 'হেলেন, তুমি কোথায়? তুমি এলে না কেন?' সুন্দর না ব্যাপারটা?'
একই সাক্ষাৎকারে হেলেন জানিয়েছেন, তিনি পরিবারটাকে ভাগাভাগি হতে দেখতে চাননি কখনও। তিনি যোগ করেছেন, ‘অবশ্যই, অনেক কৃতিত্ব (তোমার) মাকে (সালমা খান)। ওঁ অবশ্যই সেই সময়ে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়েছে, আমি এটার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। কিন্তু আমি মনে করি নিয়তি আমাকে আপনাদের সবার কাছাকাছি নিয়ে এসেছে এবং আমি অবশ্যই আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই’।