একটা সময় পর্যন্ত কপিল শর্মার শো এবং নভজ্যোৎ সিং সিধু প্রায় সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল। সিধুকে ছাড়া ভাবাই যেত না কপিলের শো। ২০১৯ সালে ওই শো ত্যাগ করার পর সিধুর জায়গা আসেন অর্চনা পূরণ সিং। সম্প্রতি, পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি পদে সদ্য ইস্তফা দিয়েছেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। এরপর ইন্ডাস্ট্রিতে জোর ফিসফাস হয়ত ফের একবার এই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-তে দেখা যাবে সিধুকে! আর এমনটাই যদি হওয়ার পথে এগোয় তাহলে কী হবে অর্চনার? কারণ ইতিমধ্যেই কপিলের শোয়ের শুধু গুরুত্বপূর্ণ অংশই নন অর্চনা, একইসঙ্গে তাঁকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন দর্শকের দল।
এসব কথা কানে গেছে অর্চনারও। এবার এই বিষয়ে সোজাসুজি মুখ খুললেন তিনি। কোনও লুকোছাপা না করে অর্চনা জানালেন সিধু এই শো-তে আবারও ফিরতে চাইলে নিজের জায়গা তিনি খালি করে দেবেন একমুহূর্তেই! বলি-অভিনেত্রীর কথায়, 'সিধু সত্যিই যদি এই শো-তে ফিরে আসতে চায় তা একদিক থেকে আমার জন্য বেশ ভালোই হবে। এতদিন এই শোয়ের জন্য যেসব কাজ করতে পারছিলেন না এতদিন, এবার সেসব নিশ্চিন্তে করতে পারব। প্রতি সপ্তাহে দুটো দিন আমাকে এই শোয়ের জন্য অনেক আগে থাকতেই ফাঁকা রেখে দিতে হয়। ফলে প্রস্তাব পেলেও অনেক কাজ নিতে পারিনি। বিশেষত যে সমস্ত শুটিং ভারতের বাইরে অথবা মুম্বইয়ের বাইরে সে সব করতে পারিনি এতদিন'।
অভিনেত্রীর কথাটা আরও জানা গেল কিছুদিন আগেই লন্ডনে এক স্যুটের জন্য প্রস্তাব তাঁর কাছে এসেছিল। কিন্তু এই শোয়ের শ্যুটিংয়ের চক্করে বাধ্য হয়েই সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। এমনিতেও বেশ কিছুদিন ধরে নেটপাড়ায় ট্রোলড হচ্ছেন অর্চনা। প্রশ্ন উঠেছে এই শো-তে তাঁর ভূমিকা নিয়ে। ট্রোলারদের প্রশ্ন, 'বসে থাকা ছাড়া তিনি করেনই বা কী?'
বলি-অভিনেত্রীর জবাব, 'একই ভাবে ৬-৭ ঘণ্টা বসে থাকা, অন্যের জোক শোনা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী হেসে ওঠা কিংবা প্রতিক্রিয়া দেওয়াটা ঠিক কতটা কঠিন বুঝবেন যদি একদিন আমার জায়গায় প্রশ্নকারীদের কেউ বসেন। আমার তাঁদের কাছে অনুরোধ তাঁরা যেন একদিন সেটে আসেন। এসে দেখে যান গোটা ব্যাপারটা'। উল্লেখ্য, 'দ্য কপিল শর্মা শো'-তে সিধুর প্রত্যাবর্তন নিয়ে গুঞ্জন উঠলেও এখনও পর্যন্ত শো কর্তৃপক্ষের তরফে কেমন কোনও ঘোষণা করা হয়নি।