দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা আর প্রিয়া সিনেমায় একটিও সিনেমা দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার! অন্যতম জনপ্রিয় হল এটি। সেই ১৯৫৯ সাল থেকে চলছে এই হল। এই হল নিয়েই এবার গোল বেঁধেছে। বুধবার থেকে এই হলে পাঠান ছবির রাজ চলবে কেবল। বা রে! এতদিন পর শাহরুখের ছবি আসছে, তায় এমন বিপুল চাহিদা ছবির সেখানে আর অন্য কোনও ছবি রাখার মানে হয়! প্রিয়া সিনেমায় এখন কেবল সব শোতে পাঠান চলবে। থাকবে না কোনও বাংলা ছবি। আর এরই পর বিতর্ক তৈরি হয়।
প্রজাপতি ছবিটির নির্মাতারা অভিযোগ করেন যে প্রিয়া সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বাংলা সিনেমার ক্ষতি হবে। এবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন অতনু রায়চৌধুরী এবং শতদীপ সাহা। বাদ গেলেন না প্রিয়ার কর্ণধার, অরিজিৎ দত্ত।
আনন্দবাজারকে অরিজিৎ দত্ত এই বিষয়ে জানান, 'শেষ কয়েক মাস আমি বাংলা ছবিই চালিয়েছি। অনেক সময় পেয়েছে বাংলা ছবি। আর তাছাড়া বাংলা ছবি জানত তো যে পাঠান আসছে। কিন্তু এখনই তাঁরা ছবি রিলিজ করবে, এটা তো অযৌক্তিক! আমি তো প্রত্যেককে তাঁদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বলে দিয়েছিলাম।'
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'দিনের শেষে এটাও ব্যবসা। মহামারীর পর থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিনের কী অবস্থা সেটা নতুন করে বলার অবস্থায় নেই। ফলে টিকে থাকতে গেলে, বড় ছবির সঙ্গে যাওয়া ছাড়া আমার কাছে উপায় নেই। টিকে থাকতে গেলে পাঠান এর পাঁচটা শো নিয়ে ভাবব নাকি প্রজাপতির একটা শো দেখব।'
মাঝে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ৮ মাস প্রিয়া বন্ধ ছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডের পর প্রিয়া আট মাস বন্ধ ছিল। তখন তো ইন্ডাস্ট্রির গুটিকয় ব্যক্তি ছাড়া কেউ আমাকে নিয়ে ভাবেননি। তখন যদি ৮ মাস বাংলা ছবি প্রিয়া ছাড়া চলতে পারে, আগামী ২ মাসও পারবে।' গত ২০ জানুয়ারি থেকেই প্রিয়া থেকে প্রজাপতি উঠিয়ে নিয়েছেন নির্মাতারা। এই বিষয়ে অরিজিৎ বলেন, 'এতদিন আগে কেন তুলে নিল ছবি? ভালোই তো ব্যবসা করছিল ছবিটা!' এই বিষয়ে শতদীপ বলেন, 'ছবি যখন আগামীতে চলবেই না তখন কদিনের জন্য ওকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে কী লাভ?'