তাঁর কণ্ঠের জাদুতে মজে আট থেকে আশি। অরিজিৎ সিং এখন শুধু কোনও গায়কের নাম নয়, অরিজিৎ মানে ইমোশন। কনসার্ট চলাকালীন ফ্যানেদের আবদার মেটান অরিজিৎ, তবে অটোগ্রাফ বা সেলফি তোলায় বরাবরই অনীহা তাঁর। অনেক সময়ই সেলফির আবদার করা ভক্তদের উপর বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনেকসময় সপাটে ‘না’ও বলেছেন। আরও পড়ুন-অরিজিৎ-এর হোটেলে বং গাই! চিকেন থালি খেয়ে কাঁদল কিরণ, গায়কের বাবার সামনে মাথা ঠুকে….
আসলে ব্যক্তিগত জীবনটা লাইমলাইট থেকে দূরেই রাখতে চান তিনি। জিয়াগঞ্জের এই ভূমিপুত্র সোনু নিগমের অন্ধভক্ত। তবে সিনিয়র শিল্পীদের যোগ্য সম্মান দিতে ভোলেন না অরিজিৎ। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে মনের কথা ফাঁস করেছেন শান।
একটা সময় বলিউড প্লে-ব্যাক দুনিয়ার পরিচিত নাম ছিলেন শান। তবে অরিজিৎ জামানায় তাঁর কদর কমেছে। এমনকি ছবিতে শানের গান বাদ দিয়ে অরিজিৎ-কে দিয়ে গাওয়ানোর নজিরও রয়েছে। ‘তুমি হি হো’ গেয়ে রাতারাতি লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন অরিজিৎ। তাঁর গান শুনলেও এই বাঙালি গায়ককে চিনতেন না শান।
২০১৭-১৮ সালের এক ঘটনা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছেন তিনি। শান জানান, এক অ্যাওয়ার্ড সেরেমানিতে এক ব্যক্তিকে সকলে ছেঁকে ধরেছিল। তাঁকে ঘিরে ব্যস্ততা এবং উচ্ছ্বাস দেখে চমকে গিয়েছিলেন শান। তিনি এক পরিচিতর কাছে জানতে চান, ‘ছেলেটা কে?’ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অংশ হয়েও অরিজিৎ-কে শান চেনন না দেখে অবাক হয়েছিল সেই ব্যক্তি। অরিজিৎ-এর জনপ্রিয়তা মুগ্ধ করেছিল শানকে।
গায়ক বলেন, ওই অনুষ্ঠানে একই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় দুজনকেই। অরিজিৎ কত বড় মনের মানুষ সেই কথা বলতে গিয়ে শান বলেন, 'সে এসে আমাকে বলল, দাদা একটা সেলফি তুলব? উলটে আমি ভাবছিলাম, আমি গিয়ে ওর সঙ্গে ছবি তুলব! অরিজিৎ কতখানি মাটির মানুষ তা শানের কথাতেই স্পষ্ট।
শান আরও যোগ করেন, অরিজিৎ নিজের একটা জায়গা তৈরি করেছে। সেই জায়গা থেকে না সরে নিজের কর্মক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করে চলেছেন তিনি। এটাই তাঁর সাফল্য।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অরিজিৎ প্রসঙ্গে শান বলেছিলেন, 'আজ সঙ্গীত জগতে যত বড় নাম আছে সবাই হয় র্যাপার নইলে নিজেদের ব্যান্ড আছে বা ইউনিক কোনও মিউজিক স্টাইল আছে। অরিজিৎ সিং শেষ মানুষ যিনি ফিল্ম মিউজিক থেকে খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু এখন অধিকাংশ গায়ক তাঁদের অ্যালবামের গান থেকেই খ্যাতি পায়। আজকাল ফিল্ম মিউজিক থেকে আর কোনও তারকা তৈরি হয় না।'