অরিজিৎ সিং জ্বরে কাবু আট থেকে আশি। হবে নাই বা কেন, সুরের জাদুতে খুব কম বয়সেই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন। এমন কোনও গান নেই যা তাঁর গলায় মানায় না। তবে অরিজিৎকে নিয়ে যত লেখালিখি হয় বেশিরভাগটাই তাঁর কাজ নিয়ে। ব্যক্তিগত জীবন বড়ই চাপা। সেভাবে আসতে দেন না তিনি প্রচারের আলোকে। অনেকেই নিশ্চয়ই জানেন অরিজিতের বাবা সুরিন্দর সিংহ বাগ্গা পঞ্জাবি, যদিও তাঁর মা অদিতি ছিলেন খাঁটি বাঙালি। জিয়াগঞ্জেই তাঁর বড় হওয়া।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরেছিলেন অরিজিতের বাবা। সেখানে ছেলে ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরেছেন সকলের কাছে। সুরিন্দর লিখেছেন, ‘এখন আমার বয়স ষাট পেরিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে শীতে জবুথবু অবস্থা। তবে একসময় প্রবল শীতেও আদুর গায়ে খেলাধুলো করেছি। এ নিয়ে মা-বাবার কাছে বহুবার বকুনিও খেয়েছি। আমার মতো সোমুও (অরিজিৎ) শীতে কাবু হয় না। জিয়াগঞ্জে গঙ্গার পাশেই বাড়ি হওয়ার সুবাদে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা আমরা বাবা ও ছেলে দু’জনে প্রতিদিন গঙ্গায় স্নান করতাম। সোমু একটু বড় হলে নিজেই গঙ্গায় স্নান করতে চলে যেত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গঙ্গায় বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটত ও। এই নিয়ে মায়ের কাছে কম বকা তো খায়নি। মাঝেমধ্যে ঠান্ডাও লাগিয়ে ফেলত। সর্দি-কাশিতে ভুগত। তবু প্রতিদিন ওর গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়া বন্ধ হয়নি।’
অরিজিতের বাবা আরও জানান, শীতে আরেকটা যেটা হত তা হল পিঠেপুলি। বাঙালি বউয়ের হাতে তৈরি এই সুখাদ্য জমিয়ে খেতেন তাঁরা। আর যেটা মাস্ট ছিল সেটা হল ঘুরতে যাওয়া। দিঘা, পুরী যেতেন শীতে। আর শীত একটু কমলেই চলে যেতেন দার্জিলিং কিংবা সিকিমের পথে। সুরিন্দর জানালেন, ‘সোমুর পাহাড়, সমুদ্র দু’টোই প্রিয়।’ সঙ্গে শীতের হরেকরকমের সবজির স্বাদের কথাও লিখতে ভুললেন না তিনি। আরও পড়ুন: ‘এটা ওঁর বউ!’, কোয়েলের হাত ধরে এয়ারপোর্ট থেকে বের হলেন অরিজিৎ, ভিডিয়ো ভাইরাল
সম্প্রতি গ্লোবাল স্পটিফাই (Spotify) আর্টিস্ট চার্টে সেরা ১০-এ জায়গা করে নিয়েছেন গায়ক। প্রথম ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে এই বিরল নজির গড়লেন অরিজিৎ। ৬ কোটি ৬১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৪২ জন ফলোয়ারের সঙ্গে এই তালিকায় ষষ্ঠস্থানে রয়েছেন অরিজিৎ। তাঁর ঠিক আগে রয়েছেন মার্কিন পপ সেনসেশন জাস্টিন বিবার। আর খ্যাতনামা ব্যান্ড বিটিএস অরিজিতের পিছনে। এই খবর কানে আসতেই খুশিতে মাতেন তাঁর অনুরাগীরা।
চলতি বছরে কলকাতায় শো করার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে ভেন্যু বদল হওয়ায় গোটাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চলেছে বঙ্গে।