ছেলেটা নিজের মিষ্টি স্বভাব দিয়ে প্রথম থেকেই যেন মন ছুঁয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার। এখন তো কোটি কোটি ভক্ত। নিজেও সেভাবে পোস্ট করেন না। কালেভদ্রে আসে দরকারি এক-একখানা পোস্ট। তবে তাঁর নামে রয়েছে কয়েক হাজার ফ্যান পেজ। সেখানে গায়কের ভক্তরা প্রায়ই তাঁর নানা ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে থাকে। আর সেগুলো তারপর নিমেষে মন জিতে নেয় নেটপাড়ার।
সম্প্রতি অরিজিতের ভাইরাল হওয়া ছবিখানায় দেখা গেল তিনি মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছেন। মুখে সেই সহজ-সরল, নিষ্পাপ, মিষ্টি হাসিটা। বরাবরই খুব সাধারণ জাপনে অভ্যস্ত তিনি। জিয়াগঞ্জের সেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা ছেলেটা নিজের মধ্যে সেভাবে পড়তে দেননি বিত্ত বা খ্যাতির প্রভাব। তাই তো এখনও বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন নিজের শহরে। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে গিয়ে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন আর পাঁচটা মা-বাবার মতো। আবার কখনও নিজের স্কুলে গিয়ে শিক্ষিকার পায়ের কাছে বসে ছবি তোলেন। আরও পড়ুন: ‘আমার শহরে আসছে…’, অরিজিৎ সিং-এর লাইভ কনসার্ট নিয়ে সোশ্যালে কী লিখলেন রূপম ইসলাম
অরিজিতের মায়ের সঙ্গে তোলা এই ছবিটা আরও এক কারণে বিশেষ। কারণ ২০২১ সালে মা অদিতি সিং-কে হারিয়েছেন তিনি। করোনায় অদিতিকে ভর্তি করা হয়েছিল শহরেররই এক বেসরকারি হাসপাতালে। ইকমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অরিজিতের মায়ের জন্য রক্তও চাওয়া হয়েছিল ফেসবুকে সেই সময়। অরিজিৎ নিজেও লিখেছিলেন, ‘যাঁরা আমায় সাহায্য করতে চাইছেন, তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। তবে আমার যশ বা খ্যাতির জন্য কিছু করতে যাবেন না। এখন খুব জরুরি মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারও একার পাশে নয়।’ তবে শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি অরিজিতের মাকে। মাতৃহারা সন্তানের কাছে তাই তো একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি প্রতিটা মুহূর্তই বিশেষ।
আপাতত ১৮ ফেব্রুয়ারি অ্য়াকোয়াটিকাতে হবে অরিজিৎ সিং-এর শো। ইতিমধ্যেই শো প্রায় হাউজফুল। টিকিট নিয়ে মারামারি চলছে বলা যায়। যদিও এই লাইভ শো হওয়ার কথা ছিল ইকোপার্কে। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ইকো পার্ক কতৃপক্ষের তরফ থেকে ক্যানসেল করা হয় শো। সেইসময় রটে যায়, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে রং দে তু মোহে গেরুয়া গাওয়ার জন্য নাকি অরিজিতের উপরে রেগে গিয়েছে মমতার তৃণমূল সরকার। তখন ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা জানান, এমন কোনও ব্যাপার নেই। ইকো পার্কের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত। কারণ ভিড় বেশি হলে পার্কের বড় ক্ষতি হয়। এরপর ভেন্যু হিসেবে সামনে আসে অ্যাকোয়াটিকার নাম।