বিগত কয়েকদিন ধরেই পরিচালক অরিন্দম শীলের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেটে নায়িকাকে চুমু খাওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর নামে। এই নিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে মহিলা কমিশনকে একটি লিখিত চিঠিও লেখেন। তারপরই তাঁকে ব্যান করে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অরিন্দম শীল অবশ্য ইতিমধ্যেই আত্মপক্ষ সমর্থনে সেদিন কী হয়েছিল তা সামনে এনেছেন। পরিচালককে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে কথা না বলেই, এভাবে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করায় তিনি মনে আঘাত পেয়েছেন। কখনো ভাবেননি, এমনটা হতে পারে।
সঙ্গে সেদিন সেটে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে ঠিক কী হয় সেটাও জানান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে অরিন্দম জানিয়েছেন, তিনি যেহেতু নিজে একজন অভিনেতা তাই সেটে অভিনয় করে দেখান। এতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও বুঝতে সুবিধে হয়। সেদিনও সাধারণ একটা ইন্টিমেট দৃশ্যের শ্যুট ছিল। তাতে কোনও লিপ লক বা বেড সিন নেই। যাতে দেখা যাবে অভিনেতা চেয়ারে, আর কোলের উপরে অভিনেত্রী। আর সেটা বোঝাতেই ওই অভিনেত্রীকে নিজের কোলের উপরে বসতে বলেন অরিন্দম। তাঁর দাবি, তিনি বারবার প্রশ্নও করে জেনে নিয়েছিলেন, কোনও অসুবিধা নেই তো তোর? সব ঠিক আছে তো?
পরিচালক জানান, কোনওভাবে সেই অভিনেত্রীর গালে তাঁর মুখ ঠেকে যায়। সেটা ইচ্ছাকৃত নয়। পুরোটাই একটা অ্যাক্সিডেন্ট।
অরিন্দম আরও জানান, পুরো ঘটনাটাই তিনি মহিলা কমিশনকে জানিয়েছেন। সেখানে তিনি যে চিঠি দেন, তা থেকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ শব্দটি বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়। কারণ অভিনেত্রীর এই শব্দে আপত্তি রয়েছে। অভিনেত্রীর খারাপলাগাকে মান্যতা দিয়ে তিনি সেটাই করেন। ক্ষমা চাইতে বলা হলে, সেটাও মেনে নেন।
অরিন্দমের যুক্তি, যেদিন এই ‘চুমু-বিতর্ক’ ঘটে, সেদিন কস্টিউম অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, ফটোগ্রাফার, এগজিকিউটিভ প্রোডিউসার সকলে সেখানে ছিলেন। সকলেই জানে, আসলে ঠিক কী হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লেখেন, ‘পাপের ঘড়া উলটোয়। ভেবেছিলাম বোধহয় নিজের জীবনে দেখে যেতে পারব না। ভগবান তুমি এই কথাটুকু যে রেখেছ। এই অনেক। ২০ বছর সময় লাগল, সে লাগুক।’
‘আমাদের জগতের সমস্ত মেয়েদের বলছি। সময় এসেছে, সম্মান দখল করার। আর ভয় নয়। গলা তুলে, আঙুল তুলে চিৎকার করে নোংরা লোকগুলোর মুখোশ টেনে ছিঁড়তে হবে। সবাই বেড়িয়ে এসো। হাত ধরে একসঙ্গে সোচ্চার হই। এটা আমাদের BASIC RIGHT. (ন্যয্য অধিকার)।’, আরও লেখেন অভিনেত্রী।