একটা সময় টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় শিশুশিল্পী ছিলেন অরিত্র দত্ত বণিক। মহাগুরুর সঙ্গে তাঁর খুনসুটি, দেব-জিতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় এনজয় করেছে বাঙালি দর্শক। এখন অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও টলিউড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি অরিত্র। বরং ক্যামেরার পিছনে কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। নিউজ চ্যানেলেও এক্সপার্ট ওপিনিয়ন পেশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সোচ্চার অরিত্র। স্পষ্টবক্তা অরিত্র শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদেরও বিঁধতে ছাড়েন না। এবার তাঁর নিশানায় পুরোনো সহকর্মী দেব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তারকা সাংসদকে খোঁচা দিলেন অরিত্র। নিম্নচাপের বৃষ্টি আর ডিভিসির জল ছাড়ার জোড়া ফলায় বিদ্ধ ঘাটাল। বানভাসি গোটা এলাকা। দুর্দশার শেষ নেই ঘাটালবাসীর।
পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘাটাল ছুটেছিলেন সাংসদ দেব। এই নিয়ে তিনবারের জয়ী সংসাদ দেব। কিন্তু গত ১১ বছরেও ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতিতে কোনও বদল আসেনি। দীর্ঘদিন ধরে আটকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। সেই নিয়েই খোঁচা দিয়ে অরিত্র ফেসবুকে লেখেন, 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের সফল বাস্তবায়নের জন্য সকল এলাকার মানুষকে অভিনন্দন জানাই। প্রোজেক্টটির সম্পূর্ণ ছবি পোস্টের নীচে এটাচ করে দিলাম।
-খুঁজে পাচ্ছেন না? সেটা আপনার চোখের সমস্যা বা ফোনের সমস্যা আমি তো দেখতে পাচ্ছি স্পষ্ট। আপনার চোখ/ফোন সারাই করুন।' নাম না করেই দেবকে নজিরবিহীন আক্রমণ অরিত্রর। যা দেখে দু-ভাগে বিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া। একটা দল অরিত্রকে সমর্থন জানিয়েছেন, তবে আসরে নেমে দেব-ভক্তরা তারকা সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক নেটিজেন লেখেন, ‘হে সর্বজ্ঞানের কাঠালিয়া আমসত্ত্ব মহাশয়,বলি মাস্টার প্ল্যানটির জন্য জমি জমা,খাল বিল কাটা সংক্রান্ত বেশ কিছু সময় সাপেক্ষ কাজ রয়েছে,মানে বোতলের ছিপি খুলে ওর মধ্যে করা শারীরবৃত্তীয় কাজের থেকে একটু বেশি সময় সাপেক্ষ কাজ। বোঝাতে পেরেছি আশা করি?’ অপর একজন লেখেন, ‘আপনার বক্তৃতা দেওয়ার মতো ওতো সহজ কাজ নয়, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান, সময় লাগে’।
গত লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেব। পরে মমতা তাঁকে আশ্বাস দেন, রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারপরই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন দেব। সম্প্রতি ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও আপটেড দিয়েছেন সাংসদ। তিনি জানান, ‘জমির ম্যাপ করা হয়েছে। যাঁদের যাঁদের জমি রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কথা চলছে। অনেকগুলো সরকারি জমি পাওয়া গিয়েছে। জবরদখল করে রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এই বছরের শেষেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে। তারই প্রস্তুতি চলছে।’