সোমবার আদালত থেকে বেরিয়ে, মিডিয়া দেখেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আরজি কর কাণ্ডের অভিযু্ক্ত সঞ্জয় রায়। গাড়িতে তোলার সময় তিনি চিত্কার করে বলতে থাকেন, 'আমাকে বলতে দিচ্ছে না, আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বড় বড় অফিসাররা ফাঁসিয়েছে।'
রাতেই সঞ্জয়কে নিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন অরিত্র দত্ত বণিক। এমনকী, খোঁচা দিয়ে তাঁকে উল্লেখ করতে দেখা যায়, ‘আমি ওঁকে নিয়ে নিউজ চ্যানেল খুলবো ওঁকেই চিফ অ্যাঙ্কর বানাব’।
আরও পড়ুন: বক্স অফিসের হাওয়া বদল! ক্রমশ অজয়কে পিছনে ফিলছে কার্তিক, ১১তম দিনে কার আয় কত
অরিত্র দত্ত বণিকের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট:
আরজি কর অভিষুক্ত সঞ্জয়কে নিয়ে অরিত্র লিখেছেন, ‘ক্যামেরা কন্সাস সঞ্জয় রায়। নতুন অভিনেতারা অনেকসময় ক্যামেরা এঙ্গেল বোঝে না কোথায় দাঁড়াতে হবে গুলিয়ে ফেলে। সঞ্জয় কিন্তু এইসবে এক্সপার্ট।’
‘আজ পেশাগত কারণে শিয়ালদহ কোর্টে ছিলাম। সঞ্জয়ের ট্রায়ালে প্রেস এর কোনো প্রতিনিধিকে, অন্য কোনো এডভোকেট ও কোর্ট স্টাফকে বিচারক ঘরে থাকতে দেননি। শুধুমাত্র দুই পার্টি, আর তাদের আইনজীবীরা ছিলেন। পকসো ও রেপের মামলায় এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়, ফলে ট্রায়ালে আজ এই হলো ওই হলো, এই প্রমান পাওয়া গেলো এই নিয়ে যে চ্যানেলেই কথা বলবে জানবেন ঢপ দিচ্ছে।’, লিখেছেন অরিত্র।
আরও পড়ুন: পরকীয়া, বিয়ের আগে মা হওয়ার অভিযোগ এনেছে সৎ মেয়ে! মানহানির চিঠি পাঠাল রূপালি
যদিও তাঁর এই পোস্টের মূল ফোকাস ছিলেন সঞ্জয়ই। তাই একসময় সিভিক ভলিন্টিয়ার হিসেবে কাজ করা এই অভিষুক্তের নামে তিনি লিখলেন, ‘সঞ্জয়কে দেখলাম ট্রায়াল শেষে স্মার্টলি নামল, পুলিশের ভ্যানে উঠে জামাকাপড়টা ঠিক করে নিল, দেখে নিল মেইন গেটের ডান দিকে প্রেসের ক্যামেরা আছে। ওদিকে গিয়ে বসে ওর চিরাচরিত বক্তব্য পেশ করতে শুরু করল। অথচ মূল কক্ষে ও একবারো এইসব বলে না, চেচামেচি করে না। যদি বিচারের নিয়মে ও ভবিষ্যতে জামিন পায় আমি ওঁকে নিয়ে নিউজ চ্যানেল খুলবো ওঁকেই চিফ অ্যাঙ্কর বানাব, ক্যামেরা আর হেডলাইন বোঝার বিশেষ ক্ষমতা ঈশ্বর ওঁকে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: হেরাফেরি ৩ আসছে? বাবু ভাইয়া চিৎকার উঠতেই পরেশের সঙ্গে যা করলেন সুনীল-অক্ষয়
এদিন আর কী বলেন সঞ্জয়?
এর আগেও মিডিয়ার সামনে সঞ্জয় দাবি করেছিলেন, তাঁকে সরকার ফাঁসিয়ছে। আর এবার তো সরাসরি নাম নিয়ে আক্রমণ হানলেন। বললেন, 'বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি নাম বলে দিচ্ছি। ওরা সাজিশ করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। ওরা জানে কেন ফাঁসিয়েছে।'
এর আগেরদিন মিডিয়ার ক্যামেরা দেখেই সঞ্জয় বলে উঠেছিলেন, ‘আমি খুন ধর্ষণ করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে চাপ দিয়ে অনেককিছু বলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাকে শেখানো হচ্ছে কী বলতে হবে। ডিপার্টমেন্ট আমাকে কিছু বলতে দেয়নি।’