বৃহস্পতিবারই কুণাল ঘোষের একটি পোস্ট রীতিমতো চমকে দিয়েছিল সকলকে। যেখানে তৃণমূলের মুখপাত্রকে দরাজ প্রশংসা করতে দেখা যায় অরিত্র দত্ত বণিকের। একসময় অভিনয় করলেও, এখন অরিত্রকে মূলত সবাই চেনে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, চ্যাট শো-র বক্তা, প্রতিবাদী নাগরিক হিসেবে। আর স্বভাবতই তাঁকে বহুবার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। আর সেই দলেরই নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর প্রশংসা করায়, বেশ হতবাক হন নেট-নাগরিকরা। এমনকী, অরিত্র তৃণমূলে আসছেন কি না, এমন প্রশ্নও উঠতে থাকে কুণালের পোস্টের কমেন্ট সেকশনে।
অরিত্র কুণালের পোস্টটি শেয়ার করে লিখলেন, ‘প্রণাম ও ধন্যবাদ KG কে, কিন্তু এই ছবি সাংবাদিক KG-র সাথে ছোটোবেলায় আমার তোলা, রাজনৈতিক মুখপাত্র KG র সাথে নয়।’
আরও পড়ুন: পাঁজরের চোট কতটা গুরুতর, বন্ধ কি শ্যুট? নিজে টুইট করে ভক্তদের জানিয়ে দিলেন সুনীল
এরপরই দিলেন তৃণমূলে যাবেন কি যাবেন না, তার জবাব। লিখলেন, ‘সকাল থেকেই অনেক মিডিয়া জানতে চাইছেন যে আমি তৃণমূলের অংশ হচ্ছি কিনা, স্পষ্ট উত্তর 'না', এরকম কোনো প্রস্তাব আমাকে কেউ দেয়নি, আমিও কোনো ইচ্ছাপ্রকাশ করিনি। আমার কেরিয়ার অবজেকটিভ আইন ও বিচার ব্যবস্থা। সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে এই মুহুর্তে স্পষ্টত কারণেই তাই সমান দূরত্ব রেখেই চলি। আজ অবধি কোনো দলের সাথে কোনো সেটিং করিনি, আনডিউ এডভান্টেজ নেইনি। আগামীতেও করব না। নিজের যোগ্যতায় যতদূর এগোই, ততটুকুই সেলিব্রেট করি।’
আরও পড়ুন: অভিষেক-ঐশ্বর্যর ডিভোর্সের জল্পনা! পনির লাবাবদার-রুটি খাওয়াতে কাকে বাড়িতে ডাকলেন অমিতাভ বচ্চন?
‘রাজনৈতিক মহলে সকলেই আমার কেরিয়ার অবজেটিভ জানেন, ফলে এখনো অবধি কোনো দলে টানা বা ভোটের টিকিটের জন্য আমাকে কোনো দল থেকেই কেউ একটাও মেসেজ বা কল করেননি, আগামীতে করলেও আমি আমার প্রফেশনাল নীতি মেনেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকব। নীতিশিক্ষার বাইরে আমি কিছু করি না। আবারো ধন্যবাদ কুনাল ঘোষ সহ সকল তৃণমূল সমর্থকদের যারা আমার পাঠক ও শ্রোতা, ভালোকে ভালো ও খারাপকে খারাপ বলার কাজটা চালিয়ে যাবো, সেইটা যে দল বা যে মানুষই করুক।’, আরও লিখলেন অরিত্র।
আরও পড়ুন: লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম নিয়ে, ফের হুমকি সলমনকে, এবার অভিনেতার এক ঘনিষ্ঠের ক্ষতি করার বার্তা এল, কে সে
প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষও কিন্তু অরিত্রর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেরই প্রশংসা করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘বহুবছর পর, নতুন করে দেখলাম ফেসবুকে। জ্ঞান, কাজ, চিন্তার গভীরতা; সঙ্গে রসবোধ। সময়োপযোগী পোস্টগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকারিতার ইতিবাচক দিক প্রতিষ্ঠা করে। সব বক্তব্যে একমত হই না, উল্টোমত থাকে, স্বাভাবিক। কিন্তু, শ্রীমান অরিত্র, তোমার পোস্ট দেখার একটা আগ্রহ তৈরি করে দিতে পেরেছো। ভালো থেকো। কখনও মুখোমুখি আলাপ, কথা হবে।’