১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ইশা সাহা ও অর্জুন চক্রবর্তীর ‘মিথ্যে প্রেমের গান’। তার আগে ফিভার এফএম-এর আর জিনিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন ইশা-অর্জুন। জিনিয়া বলেন, সকলে বলছে অর্জুন-ইশা দুজনেই ভীষণ ব্যস্ত… তবে সঙ্গে সঙ্গেই একথা খারিজ করে দেন অর্জুন ও ইশা। অর্জুন বলেন, সবথেকে ব্যস্ত আমরা এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই, অনেকেই অনেক কাজ করছেন। ইশা বলেন, আপাতত আমায় দেখে মনে হবে ভীষণ ব্যস্ত, কারণ, গতবছর যেকটা ছবি করেছি, সেগুলো পরপর মুক্তি পাচ্ছে, ওগুলো শেষ হওয়ার পর যে আর কিছুই আসবে না, সেটা কেউ জানতে পারবেন না…, তবে ২০২৩-এর শুরুতেই মুক্তি পাবে ‘মিথ্যে প্রেমের গান’।
কথা প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, এই ছবিটা অবশ্যই তাঁদের কাছে স্পেশাল, কারণ এটা পরমার (পরমা নেওটিয়া) প্রথম ছবি। আর তাঁরা সেই ছবির অংশ। এরআগে এধরনের মিউজিক্যাল কোনও ছবিতে তিনি কখনও কাজ করেননি, আদিত্যর মতো এমন একটি চরিত্রও করেননি, সবমিলিয়ে বেশ স্পেশাল। ইশার কথায়, প্রত্যেকটা ছবিই কোনও না কোনও কারণে স্পেশাল হয়। এটাও তাই।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র, ওই চরিত্রকে ঘিরেই গল্প, ওঁর চরিত্রের পাশাপাশি তোমাদের চরিত্রগুলি কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর উত্তরে অর্জুন চক্রবর্তী বলেন, ‘তিনটে চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু অভীক (অনির্বাণ)কে নিয়ে গল্প নয়, বাকি আদিত্য ও অন্বেষাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’ অর্জুনের কথায়, ‘আদিত্য হিন্দুস্তানি ক্যাসিক্যাল গান করে, তবে ওঁর ভীষণ ইগো। তাই অন্যদের একটু ছোট করেই কথা বলে, একটু Rude টাইপের, ছবিতে অন্বেষা ও অভীক একসময় ক্লোজ ছিল। নাহ এর থেকে বেশি বলা যাবে না…(হেসে ইশার দিকে তাকালেন)।’ প্রসঙ্গক্রমে ইশা সাহা বলেন, ‘আমার চরিত্রের নাম অন্বেষা, যাঁর সঙ্গে প্রেম-অপ্রেমের খেলা, দুঃখ, যা যা হচ্ছে, মূলে এই মেয়েটি। বাকি প্রেম আসে, ভাঙে, আরও অনেককিছু সেটা ছবিতে দেখতে হবে, আর কিছু বলা যাবে না…।’
মিউজিক্যাল ছবিতে অনেকসময় অতিরিক্ত গান দেওয়া হয়ে যায় বলে মনে হয়, আবার কোনও ছবিতে হয়ত গান নেই, মনে হয় এখানে একটা গান হলে ভালো হত, কী বলবে? এই কথা প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, বেশিরভাগ সময় অন্য ছবিতে মনে হয়, এখানে গানের দরকার ছিল না। তবে এই ছবিটাতে সেটা মনে হবে, কারণ এখানে গানটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। ইশা বলেন, আমার মনে হয়না, এই ছবিটা দেখে কেউ বিরক্ত হবেন বলে…। অর্জুন ও ইশা দুজনেই জানান, অনির্বাণ কাজে ভীষণই ফোকাসড, বন্ধ হিসাবেও ভালো, তাই কাজ করতে সমস্যা হয়নি। অর্জুনের কথায়, অচেনা কারোর বুকে গানটা তাঁর ভীষণ পছন্দের।