বুধবার হঠাৎই নিজের বহুতল বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন মালাইকা আরোরার বাবা অনিল মেহতা। স্বভাবতই এই অস্বাভাবিক মৃত্যু বড়ই বেদনাদায়ক ছিল পরিবারের কাছে। রীতিমতো বিদ্ধস্থ অবস্থায় দেখা যায় মালাইকা ও অমৃতাকে। খবর পেয়েই ছুটে এসেছিল মালাইকার প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ি, ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধবরা। ছিলেন অর্জুন কাপুরও। দেখা গেল একেবারে শেষ পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেন সেখানে। রাতে মালাইকা ও অমৃতা যখন বের হয়, তিনিও তাঁদের সঙ্গে বের হন।
অপেক্ষায় অর্জুন
একটি ক্লিপে অর্জুনকে আর তাঁর পিছনে মালাইকাকে ওই বাড়ির গেট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে এরপর তিনি মালাইকাকে গাড়িতে তুলে দেন তিনি। ছেলে আরহান খানকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায় মালাইকাকে। বোন অমৃতা অরোরাও স্বামী শাকিল লাদাকের সঙ্গে চলে যান। করিনা ও কারিশ্মা কাপুরকেও গাড়ি পর্যন্ত উঠতে সাহায্য করেছিলেন অর্জুন।
বাবাকে নিয়ে মালাইকার বিবৃতি
বুধবার সন্ধ্যায় অনিলের মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি শেয়ার করেন মালাইকা। তিনি লেখেন, 'আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় বাবা অনিল মেহতা আর নেই। তিনি ছিলেন একজন কোমল আত্মা, একজন নিবেদিতপ্রাণ দাদু, একজন প্রেমময় স্বামী এবং আমাদের সেরা বন্ধু। আমাদের পরিবার এই ক্ষতিতে গভীরভাবে শোকাহত, এবং আমরা এই কঠিন সময়ে মিডিয়া এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আমরা আপনাদের কাছ থেকে আসা সমর্থন এবং শ্রদ্ধার প্রশংসা করি। কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জয়েস, মালাইকা, অমৃতা, শাকিল, আরহান, আজান, রায়ান, ক্যাসপার, এএক্সএল, ডাফি ও বাডি।
সইফ আলি খান, চাঙ্কি পান্ডে, তাঁর মেয়ে অনন্যা পান্ডে-সহ বহু সেলিব্রিটিও মালাইকাকে দেখতে গিয়েছিলেন। খান পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন স্বামী আরবাজ খান-সহ তাঁর পরিবারও বুধবার মালাইকাকে দেখতে গিয়েছিলেন। সোহেল খান, তার বাবা সেলিম খান এবং সালমা খানকে তার বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়, যখন মিডিয়া ফটোগ্রাফাররা এই চারপাশে জড়ো হয়েছিল।
তদন্তে পুলিশ
এর আগে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছিল, মালাইকার বাবার মৃত্যু 'প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা' বলেই মনে হচ্ছে এবং এই মামলার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিসিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ রাজ তিলক রোশন জানিয়েছেন, মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, পুলিশ ও ফরেনসিক টিম তদন্ত চালাচ্ছে।
বাবা মারা যাওয়ার সময় মালাইকা বাড়িতে ছিলেন না। অভিনেতা-মডেল পুনেতে ছিলেন এবং ঘটনাটি জানার পরেই মুম্বই ফিরে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।