আরবাজ খানের সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন, টেকেনি। ডিভোর্সের আগেই নতুন প্রেমিকের হাত ধরেছিলেন মালাইকা। প্রেমে পড়েছিলেন ননদ অর্পিতা খান শর্মার প্রাক্তন প্রেমিক অর্জুন কাপুরের। অর্জুনের থেকে বয়সে ১২ বছরের বড় মালাইকা, তবু কত প্রেম! সেসময় এই জুটিকে দেখে একথাই বলতেন অনুরাগীরা।
তবে অর্জুন-মালাইকার রসালো প্রেমও টিকলো না। নি-টাউনে কান পাতলে বিচ্ছেদের গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে। যদিও অর্জুন কিংবা মালাইকা এই বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে গত ২৬ জুন অর্জুনের জন্মদিনে মালাইকার অনুপস্থিতিই সব স্পষ্ট করে দিয়েছে। তার উপর অর্জুন ও মালাইকার সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও বিচ্ছেদের আগুনে ঘি ঢেলেছে। ফের একবার নিজের ইনস্টাস্টোরিতে অকপট স্বীকারোক্তি অর্জুনের। ঠিক কী লিখেছেন বনি পুত্র?
অর্জুন লেখেন, ‘পরে আফশোস করার থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক ভালো।’ আর অর্জুন এই পোস্ট নিজের জন্মদিনের ঠিক পরপরই করেছেন। অর্জুন এই পোস্ট দেখে নেটনাগরিকদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তবে কি মালাইকার সঙ্গে সম্পর্ককেই ভুল বলে মনে হচ্ছিল অর্জুনের?

তবে শুধু অর্জুনই নন, বনি পুত্রের জন্মদিনে মালাইকা লিখেছিলেন, ‘আমি এমন লোকদের পছন্দ করি যাXদের আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারি’। তাঁর এই পোস্ট দেখেও নেটপাড়ার প্রশ্ন ছিল, ’কে তাঁর বিশ্বাসে এই আঘাত হানল? অর্জুন?'
গত ২৬ জুন, অর্জুন কাপুরের জন্মদিন উদযাপনে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে আয়োজিত পার্টিতে ছিলেন বরুণ ধাওয়ান, জাহ্নবী কাপুর, আদিত্য রায় কাপুর এবং মাহিপ কাপুর, অর্জুন বোন অংশুলা কাপুর সহ পরিবারের অন্যান্যরা। সেদিন মালাইকা যাননি, এমনকি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কোনও পোস্টও শেয়ার করেননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বলিপাড়ায় অর্জুন-মালাইকা বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অর্জুনের পরিবারের একাধিক সদস্যকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আনফলো’ করে দেন মালাইকা। তাতেই শুরু হয় জল্পনা। প্রসঙ্গত অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে কোনওদিনই মালাইকার বিশেষ ভাব জমেনি। বরং শোনা যায়, ডিভোর্সি, এক সন্তানের মা মালাইকাকে কোনওদিনই নিজের একমাত্র ছেলের বউমা করতেরাজি নন বনি কাপুর। যদিও অর্জুন এসব বাধা সত্ত্বেও মালাইকাতে মজেছিলেন।
তবে সম্প্রতি পিঙ্কভিলা সূত্রে খবর অর্জুন-মালাইকা আলাদা হয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁরা কেউই এই প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে রাজি নন। চাননা কেউ এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলুক। এবিষয়ে তাঁর চুপচাপ একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন।