শন জন কম্বস ওরফে ‘ডিডি’কে ঘিরে তোলপাড় পশ্চিমী বিনোদুনিয়া। এই ব়্য়াপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, সেক্স ব়্যাকেট চালানো, যৌন নির্যাতন-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার ভিত্তিতে গত ১৬ই সেপ্টেম্বর ম্যানহ্যাটন থেকে গ্রেফতার করা হয় ডিডিকে।
এর মাঝেই ২০০৪ সালে ডিডি আয়োজিত মিয়ামির একটি তারকাখচিত পার্টির ছবি পুনরায় ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন উইল স্মিথ, ব্রুস উইলিস, ডায়ানা রস, ওয়েন উইলসনসহ বিভিন্ন তারকারা। ডিডির গ্রেফতারি নিয়ে হলিউড তারকাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
ভাইরাল সেই ছবিতে নগ্ন মডেলদের শরীর থেকে চকোলেটমাখা স্ট্রবেরি খেতে দেখা যাচ্ছে ডিডিকে। ম্যানহাটনের একটি হোটেলে গ্রেফতার করার পর ৫৪ বছর বয়সী ডিডি-র বিরুদ্ধে প্রতারণা, যৌন পাচার এবং পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হওয়ার জন্য পরিবহনে মদত জোগানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। নারীদের 'যৌন পারফরম্যান্সে' বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে ডিডির বিরুদ্ধে।
নব্বইয়ের দশকের আইকনিক হিটের জন্য পরিচিত এই ব়্যাপাের জামিনের আবেদন বুধবার দ্বিতীয়বারের খারিজ করা হয়েছে। তাকে নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টার ব্রুকলিনে কারাগারে রাখা হয়েছে, যেখানে একসময় যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন এবং ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল এবং সংগীতশিল্পী আর কেলিকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
৫৪ বছর বয়সী হিপ-হপ তারকা নিষিদ্ধ পার্টি নিক্ষেপের জন্য সুপরিচিত ছিলেন এবং নতুন শতাব্দীর গোড়ার দিকের মায়ামির ন্য়ুড পার্টির ভাইরাল ছবি ঘিরে এখন তোলপাড়া সোশ্যাল মিডিয়া। ছবিতে দেখা যায়, ডিডি এক নগ্ন নারীর কাছ থেকে চকোলেটে ঢাকা স্ট্রবেরির স্বাদ নিচ্ছেন, যাকে খাবারের থালার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে অতিথিরা একবিন্দু বিচলিত হননি, নগ্ন মহিলাটি দাঁড়িয়ে থাকায় অবস্থাতেই তারা খাবার উপভোগ করছেন। ছবিতে মহিলাকে টেবিলে ফল দিয়ে ঘিরে থাকতে দেখা যায়, একটি সবুজ পাতা যৌনাঙ্গ ঢেকে রেখেছে। স্তনযুগল উন্মুক্ত। অল-হোয়াইট স্যুট পরে ডিডিকে নগ্ন মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে স্ট্রবেরি খেতে দেখা গেছে।
ডিডি এবং তার হোয়াইট পার্টি
এ-তালিকাভুক্ত সেলিব্রিটিদের নিয়ে প্রায়শই এমন অ্যাডাল্ট পার্টিতে লিপ্ত হতেন ডিডি। টাইটানিক অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ডিডির একটি কুখ্যাত 'হোয়াইট পার্টিতে' অংশ নিয়েছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ডি ক্যাপ্রিওর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, হলিউড তারকা 'কয়েক বছর ধরে' ডিডির সঙ্গে কথা বলেননি।
মার্ক অ্যাগনিফিলো, যিনি সম্প্রতি টুবি-থিমযুক্ত টিএমজেড স্টুডিওর ডকুমেন্টারি দ্য ডাউনফল অফ ডিডি: দ্য ইনচার্জমেন্টে দেখা গিয়েছিলেন, দাবি করেছেন যে ডিডিকে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার জেরে একঘরে করেছিল হলিউড। এরপর ধীরে ধীরে নিজের রাজত্ব কায়েম করেন তারকা। এদিকে, নেটফ্লিক্স ইতিমধ্যেই ডিডির যৌন অপরাধ মামলার উপর ভিত্তি করে একটি চমকপ্রদ ডকুসিরিজ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে।