অবশেষে অচলাবস্থা কেটে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে শ্যুটিং। তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে টলিপাড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান পরিচালকরাই। জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ বক্তব্য, 'কাউকে ব্যান করা যাবে না। নতুন কমিটি তৈরি করে ফেডারেশনের নিয়ামাবলী পর্যালোচনার পর নভেম্বর থেকে শ্যুটিং নিয়ে নতুন নিয়ম লাগু হবে। যাকে নিয়ে গণ্ডোগোল সেই রাহুল মুখোপাধ্যায়, পরিচালক পদেই বহাল থাকছেন। তবে তিনি ৬-৭দিন পর থেকে শ্যুটিং শুরু করবেন।'
পরিস্থিতি সচল করতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আর্টিস্ট ফোরামের তরফে বিবৃতি দিয়ে তাঁদের মতামত জানানো হয়েছে। ঠিক কী জানিয়েছেন আর্টিস্ট ফোরাম?
আর্টিস্ট ফোরামের তরফে লেখা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে শ্যুটিং শুরু হচ্ছে। এই সমস্যা ও বিবাদ শুরু হওয়ার পর আমরা শ্যুটিং বন্ধের বিরোধিতা করেছি এবং আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ যে তিনি আবার শ্যুটিং চালু করিয়েছেন। আমাদের সদস্যদের ৯০ শতাংশ টেলিভিশন মেগা সিরিয়ালে কাজ করেন। আকস্মিক শ্যুটিং বন্ধ হওয়ায় আমাদের সদস্যরা বিপদে পড়েছিলেন। শ্যুটিং বন্ধ করার আগে ডবল ইউনিট করে বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালের ব্যাঙ্কিং করা হয়েছিল। আমাদের সদস্যদের এরজন্য অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়। এখন শ্যুটিং শুরু হলে ব্যাঙ্কিং করার জন্য আবার শিল্পীদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে এই পরিশ্রম করতে আমরা বিমুখ নই। কিন্তু আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি শিল্পীদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হল না। শ্যুটিং বন্ধ হওয়ায়, আমাদের অসংখ্য শিল্পী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।’
আর্টিস্ট ফোরামের তরফে বিবৃতিতে আরও লেখা হয়, ‘ইন্ডাস্ট্রির নীতি নির্ধারণের জন্য শুনছি একটা কমিটি তৈরি হচ্ছে। এই কমিটিতে ফোরামের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানাচ্ছি। আর্টিস্ট ফোরামের তরফে শিল্পীদের স্বার্থে নীতিগত দাবি আমরা রাখতে চাই। আপাতত শ্যুটিং শুরু হোক, কিন্তু শিল্পীদের যেন টেকেন ফর গ্রান্টেড বলে ধরে না নেওয়া হয়। কাল থেকে আমাদের সদস্যরা মৌ চুক্তি অনুযায়ী টেলিভিশনের কাজ শুরু করবেন।’ এই বিবৃতিতে সই রয়েছে আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি রঞ্জিৎ মল্লিক, এবং সাধারণ সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের।