চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা অসুস্থতায় জর্জরিত ছিলেন। ৮ অগস্ট তিনি তাঁর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৯ অগস্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শেষ যাত্রায় উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। এসেছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্নও। সেখানেই তাঁকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথা স্মরণ করে কাঁদতে দেখা গেল।
আরও পড়ুন: কেবল ভাত - মাংস বা সিগারেট নয়, এই পদ পাতে পেলেই সবথেকে খুশি হতেন বুদ্ধদেব! কী বলুন তো?
বুদ্ধদেবকে নিয়ে কী বললেন শুভাপ্রসন্ন?
সকলেই জানেন শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য তৃণমূল ঘেঁষা। তাঁর সঙ্গে বামেদের আদর্শ কখনই মেলেনি বিশেষ। বরং ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে হোক বা সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তৎকালীন সরকারের বিরোধিতা করে যে ব্যক্তিত্বরা পথে নেমেছিলেন তাঁদের অন্যতম ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। তবে এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ বিদায় জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরেও ধনঞ্জয়ের ফাঁসির জন্য বুদ্ধদেবকেই দুষলেন কবীর সুমন! লিখলেন, 'খুব মনে পড়ছে আপনাকে...'
স্মৃতি রোমন্থন করে এদিন সাংবাদিকদের শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বলেন, 'উনি আমায় খুব ভালোবাসতেন। ওঁর সংস্পর্শে থাকলে একটা স্পর্শ অনুভব করতাম। কিন্তু এসব সৎ মানুষরা আর থাকছেন না। ওঁর আদর্শ যাই হোক না কেন, ওঁর সততা নিয়ে কোনও কথাই হবে না। ওটাই মনে রেখে দেব।' কথা বলতে গিয়ে এদিন তাঁকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: 'সিক্সথ ডে থেকেই...' কথা মতোই অগ্নিকাণ্ডের মাত্র ৫ দিন পর কীভাবে ৯৭ -এ বইমেলা শুরু করেন বুদ্ধদেব?
৮ অগস্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। এদিন বাড়াবাড়ি হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দেননি তিনি। সকালে ৮ টা ২০ তে প্রয়াত হন। এদিন তাঁর মরদেহ পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হয়। ৯ অগস্ট পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয় তাঁকে। শুক্রবার বিকেলে নীল রতন সরকার হাসপাতালে দান করা হয় তাঁর দেহ। এদিন বিধানসভায় এদিন যখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ সম্মান জানানো হয় তখন দলমত নির্বিশেষে সকলেই যেন এক হয়ে গিয়েছিলেন।