জাহাজতরীতে গিয়ে ড্রাগ নেওয়ার অভিযোগে বর্তমানে জেলহাজতে আরিয়ান খান। সাতদিনের ওপর হয়ে গিয়েছে কিন্তু কিং খান নিজের ছেলেকে বার করতে পারেননি জেল থেকে। যদিও শাহরুখ পুত্রের কাছে ড্রাগের হদিশ মেলেনি কিন্তু অন্যদের থেকে উদ্ধার হয়েছে অল্প পরিমাণ মাদক। সবাই একই ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই আরিয়ানকে জামিিন দিতে নারাজ নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। কিন্তু এই পুরো ঘটনায় কতটা ধাক্কা খাচ্ছে বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ব্র্যান্ড ইমেজ? বলিউডের আল্টিমেট লাভার বয়ের ভাবমূর্তি কী ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে এই ঘটনায়? সেই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস কথা বলেছিল বেশ কিছু বিশেষজ্ঞর সঙ্গে।
হালেই এডটেক সংস্থা Byju’s সমস্ত এসআরকে অ্যাড স্থগিত করে রেখেছে। অ্যাড গুরু প্রহ্লাদ কক্কর যদিও মনে করেন যে সবাই জানে এটা পুরোটাই তামাশা ও অ্যাড স্থগিত করা বয়েছে নেহাতই বিতর্ক এড়ানোর জন্য। বাইজুসের পক্ষ নিয়ে প্রহ্লাদ বলেন যে কাল তাদের বিরোধীরা বলতে পারে যে তোমার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডারের ছেলে ড্রাগ করছে তো সে কি শিক্ষা দেবে। পুরো অ্যাড ক্যাম্পেন থেকে বাদ না দিয়ে তাই আপাতত ওটা বন্ধ রাখা হয়েছে, কী প্রতিক্রিয়া হয় সেটা দেখার জন্য। প্রহ্লাদের মতে আরিয়ানকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে, সেটা সবাই বুঝতে পারছে। শেষ পর্যন্ত তো ছেড়ে দিতেই হবে!
প্রযোজক প্রীতিশ নন্দীও মনে করেন আরিয়ানের বিষয়টি শাহরুখের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমাবে না। তাঁর মতে, শাহরুখের অনেক দিন হিট নেই তাই এমনিতেই কমে গিয়েছে কিছুটা দর। এরসঙ্গে আরিয়ানের যোগ নেই।
ট্রেড বিশেষজ্ঞ অতুল মোহন মনে করেন যে শাহরুখের এই খারাপ সময় কেটে গিয়ে খুব দ্রুত ভালো সময় আসবে। এতে কোনও প্রভাব পড়বে না ব্র্যান্ড এসআরকে-র ওপর। বরং খান পরিবার যে সহানুভুতি পাচ্ছে তাতে আরও শক্তিশালী হবে তাঁর ব্র্যান্ড। প্রতিটি ব্র্যান্ডের জন্য দুই বছরের জন্য ১০ কোটি টাকা নেন শাহরুখ বলে জানিয়েছেন তিনি।
ট্রেড বিশেষজ্ঞ অতুল মোহন মনে করেন যে শাহরুখের এই খারাপ সময় কেটে গিয়ে খুব দ্রুত ভালো সময় আসবে। এতে কোনও প্রভাব পড়বে না ব্র্যান্ড এসআরকে-র ওপর। বরং খান পরিবার যে সহানুভুতি পাচ্ছে তাতে আরও শক্তিশালী হবে তাঁর ব্র্যান্ড। প্রতিটি ব্র্যান্ডের জন্য দুই বছরের জন্য ১০ কোটি টাকা নেন শাহরুখ বলে জানিয়েছেন তিনি।
|#+|
সব মিলিয়ে ইন্ডাস্ট্রি মনে করছে যে কিছুদিনের মধ্যেই এই পুরো বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যাবে ও শাহরুখ বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য, সেটা তার ফিল্মের সাফল্যের ওপরই নির্ভর করবে। তাঁর ছেলে কি করেছে বা করেনি, সেটার কোনও সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়া উচিত নয়। বাস্তবে কী হয় সেটা ভবিষ্যতই বলবে।