শনিবার রাতে আরব সাগরে ভাসমান এক প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। NCB-র কাছে আগে থেকেই খবর ছিল সেই রেভ পার্টির। আর তাই ছদ্মেবেশে তাঁরাও ভেসেছিলেন সমুদ্রে। আর তারপরেই হাতেনাতে আটক করা হয় আরিয়ান খান-সহ তাঁর দুই বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও ফ্যাশন ডিজাইনার মুনমুন ধমেচাকে।
শনিবার রাতে এনসিবি-র অফিসে নিয়ে আসার পর টানা জেরা করা হয় আরিয়ানকে। যাতে মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন! যদিও আরিয়ান জানিয়েছে, ওই প্রমোদতরীতে ভাসার জন্য কোনও টাকা দেননি তিনি। বরং, তাঁকে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
রবিবার আদালতে তোলা হলে ১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা বজায় ছিল আজ সোমবার পর্যন্ত। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরিয়ান-সহ ওই ক্রুজ থেকে গ্রেফতার হওয়া ৮ জনকে তোলা হবে আদালত। তাঁর আগে মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হল আরিয়ানকে। সঙ্গে ছিলেন আরবাজ আর মুনমুন। সঙ্গে তাঁদের করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট করার জন্য নেওয়া হয় সোয়াবও। তারপর তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয় এনসিবি অফিসে।
সোমবার সকালে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে ফের এনসিবি দফতরে গিয়েছেন গৌরী খান। গতকালও ছেলের আটক হওয়ার খবর শুনে এসেছিলেন গৌরী। জানা গিয়েছে, আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে মিনিট তিনেক বাবা শাহরুখের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়াও হয়েছে।
যদিও আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আদালতের কাছে জানিয়েছে, আরিয়ানকে ওই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সতীশ আদালতের কাছে জানান, ‘ওঁর কাছে কোনও বোর্ডিং পাস ছিল না। নাকি, ওর কোনও সিট বা কেবিন ছিল ওখানে। দ্বিতীয়ত, ওর কাছ থেকে কোনও ধরনের মাদকও উদ্ধার করা যায়নি। শুধুমাত্র হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করে ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ আজকে আদালতে আরিয়ানের বেলের আবেদন করবেন মানশিন্ডে।