এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে হাই প্রোফাইল মামলা আরিয়ান খান মাদক কাণ্ড। গত ২৪ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছে শাহরুখ খান পুত্র। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং সেশন কোর্ট মাদককাণ্ডে আরিয়ানের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে, আজ (মঙ্গলবার) বম্বে হাইকোর্টে প্রথম দফার শুনানি হল আরিয়ানের জামিনের আবেদনের। সাক্ষীর শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসা, এমনকি কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ- গত ৪৮ ঘন্টায় অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এর সকল বিতর্কের মাঝেই বিচারপতি নীতিন সাম্বরের এজলাসে এদিন চলল আরিয়ানের জামিনের আবেদনের শুনানি। আরিয়ানের হয়ে কোর্টে সওয়াল করলেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি।
নিম্ন আদালতের পর, হাই কোর্টেও আরিয়ান খানের জামিনের বিরোধিতা করেছে এনসিবি। এদিন বম্বে হাইকোর্টকে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাফ কথা, আন্তর্জাতিক মাদকযোগ রয়েছে আরিয়ানের। এবং জামিন পেলে তদন্তকে প্রভাবিত করবে সে। মামলার সঙ্গে জড়িত তথ্য-প্রমাণ লোপাটের আশঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে এনসিবি। এদিন বয়ান থেকে বেঁকে বসা সাক্ষী প্রভাকর সেইলের হলফনামা নিয়েও প্রশ্ন তোলে এনসিবি।
'মেলেনি মাদক,হয়নি মেডিক্যাল টেস্ট, গ্রেফতারি প্রক্রিয়া ভুল'
আরিয়ান খানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি, সে মাদক সেবন করেছে এমন কোনও প্রমাণও এনসিবির হাতে নেই। গ্রেফতারির পর আরিয়ান খানের মেডিক্যাল টেস্টও করা হয়নি, সেবন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে- হাই কোর্টকে জানাল তাঁর কৌঁসুলি মুকুল রোহাতগি।
‘কার জুতোয় কী আছে সেটা আমার জানার কথা নয়’
যা উদ্ধার করা হয়েছে (আরবাজ মার্চেন্টের জুতো থেকে) সেটা খুব কম পরিমাণে- মাত্র ৬ গ্রাম। সেটা আমাকে কাস্টডিতে রাখবার জন্য উপযুক্ত নয়। অন্যদের থেকে হয়ত কমার্শিয়্যাল কোয়ান্টিটির নিষিদ্ধ মাদক মিলেছে, কিন্তু আমি তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত নই, আইনজীবী মারফত আদালতকে জানিয়েছে আরিয়ান।
'আরবাজ মার্চেন্ট আমার চাকর নয়'
আরবাজের কাছে উদ্ধার মাদকের সঙ্গে আমি জড়িয়ে নেই। আরবাজ মার্চেন্ট আমার চাকর নয় যে ওকে আমি নিয়ন্ত্রণ করব। তাই ষড়যন্ত্রনের প্রশ্নই ওঠে না। এই মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে একমাত্র আরবাজ মার্চেন্ট এবং অচিত কুমার আমার পূর্বপরিচিত।
এনসিবি-কে দেওয়া বয়ান আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়
সেকশন ৬৭-এর অধীনে গ্রেফতারির পর এনসিবি আধিকারিকদের দেওয়া বয়ানে মাদক সেবনের যে স্বীকারোক্তি রয়েছে আরিয়ানের তা আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।
চর্চিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ২০১৮ সালের
যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা হচ্ছে সেটা ২০১৮ সালের। সেগুলো কোনওটা ক্রুজের চ্যাট নয়….সেই চ্যাটের সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না। তাই ‘ষড়যন্ত্র’-এর মতো শব্দ ব্যবহার অনুচিত।
খুব বেশি হলে ‘বাচ্চা ছেলেগুলোকে’ রি-হ্যাবে পাঠানো যেতে পারে, জেলে নয়
এদিন মুকুল রোহাতগি সওয়াল করেন, এরা সকলে বাচ্চা ছেলে। প্রয়োজনে আদালত তাঁদের রি-হ্যাবে পাঠাতে পারে কিন্তু ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই। দোষ প্রমাণ হলে আরিয়ানের সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা হবে, ২৭-এ ধারার সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনও যোগ নেই।