শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান যখন মাদক মামলায় ধরা পড়েন, তখন তার পরিবারের জন্য খারাপ সময় ছিল। সবাই জানেন যে শাহরুখ খান আরিয়ানকে মুক্তি দেওয়াতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, যিনি আরিয়ানের পক্ষে কেস লড়েন, তিনি বলেছিলেন যে শাহরুখ কীভাবে তাকে রাজি করান। এমনকী ইংল্যান্ড থেকে তাঁকে নিয়ে আসার জন্য একটি প্রাইভেট জেটের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেলের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুকুল রোহতগি রিপাবলিক টিভিকে বলেন, শাহরুখ কীভাবে তাঁকে এই মামলায় নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে 'এটি একটি সাধারণ জামিনের মামলা তবে বড় সেলিব্রিটি জড়িত ছিল, তাই মামলাটি সবার নজর কেড়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্যে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম। কোভিড চলছিল। আমি মিঃ খানের ঘনিষ্ঠ একজনের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলাম যে তিনি আমাকে বোম্বে হাইকোর্টের সেই কেসে নিযুক্ত করতে চান। আমি অস্বীকার করেছিলাম, বলেছিলাম যে আমি আমার ছুটি নষ্ট করতে চাই না। এরপর মিস্টার খান আমার নম্বর পেয়ে আমাকে ফোন করলেন, আমিও তাকেও একই কথা বলেছিলাম।’
‘শাহরুখ তার স্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি এই মামলাটি গ্রহণ করেন। মুকুল বলেছেন যে শাহরুখ খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী তাঁকে মামলাটি নিতে রাজি করিয়েছিলেন।’, আরও বলেন তিনি।
‘মিস্টার খান খুবই নম্র। তারা আমাকে একটি প্রাইভেট জেটের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আমি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। আমি ছোট প্লেন পছন্দ করি না। মুম্বই পৌঁছেছি। আমি যে হোটেলে থাকতাম সেই হোটেলেই শাহরুখও থাকতেন। আমি তাকে খুব কৌতূহলী এবং বুদ্ধিমান পেয়েছি। আইনজীবী ছাড়াও তিনি অনেক নোট তৈরি করেছেন। তিনি আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমরা আরিয়ানকে জামিন পাইয়ে দেই। তারপর আমি তৎক্ষণাৎ আমার ছুটির বাকি সময় কাটাতে ইংল্যান্ডে ফিরে যাই।’, বলেন মুকুল রোহতগি।
২০২১ সালে কর্ডেলিয়া জাহাজের রেভ পার্টিতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অভিযানের পরে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এনসিবি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। আরিয়ানের মামলাটি প্রথমে দেখাশোনা করেছিলেন সতীশ মানশিন্ডে। পরে তাঁর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দেশাই। মামলাটি বম্বে হাইকোর্টে স্থানান্তরিত হলে শাহরুখ মুকুল রোহতগিকে নিয়ে আসেন।