কোর্ডেলিয়া প্রমোদতরী মাদক মামলায় গত মে-মাসেই ক্লিনচিট পেয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। শাহরুখ খান পুত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল এনসিবি। এই মামলার তদন্ত নিয়ে বারবার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে এনসিবির তৎকালীন জোনাল চিফ সমীর ওয়াংখেড়ে-সহ একাধিক অফিসারকে। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল সংস্থার বিভাগীয় তদন্তে। আরিয়ান ড্রাগ কেসে এজেন্সির সাত থেকে আটজন অফিসারের আচরণ ‘সন্দেহজনক', এমনটাই বলছে রিপোর্ট।
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার ফের মুখ পুড়ল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার। এর আগে মে মাসে আরিয়ান খান ক্লিনচিট পাওয়ার পরেও তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল এনসিবিকে। তিন মাস জেলবন্দি রাখা আরিয়ানের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পেশ করতেই ব্যর্থ হয় সংস্থা।
তদন্তের মাঝপথেই এই মামলায় মুম্বই ব্রাঞ্চের হাত থেকে চলে যায় দিল্লির বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে। পাশাপাশি তোলাবাজির অভিযোগেবিদ্ধ সমীর ওয়াংখেড়ে এবং অনান্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল এনসিবির একটি বিশেষ দল। মঙ্গলবার দিল্লি হেডকোয়াটারে সংস্থার অন্তর্বতী তদন্তের সেই ভিজিল্যান্স রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে।
এনসিবির সূত্র বলছে, ‘তদন্ত রিপোর্ট স্পষ্টতই বলা হয়েছে এই মামলায় অনেক গরমিল রয়েছে। পাশাপাশি তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশ্য কী ছিল? সেটাও সন্দেহজনক’। অন্তর্বতী তদন্তের সময় প্রায় ৬৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনসিবি-র টিম। অনেকে তিন থেকে চার বার বয়ান বদল করেছে। শুরু আরিয়ান মামলাই নয়, আরও বেশ কিছু মামলাতেও একই ধরণের গরমিলের হদিশ পেয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। সেইসব রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে'।
তোলাবাজির জন্য আরিয়ানকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল তার প্রমাণ মেলেনি, কিন্তু বেশ কয়েকজনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টার্গেট করা হয়েছিল এমনটা উঠে এসেছে তদন্তে। জানা যাচ্ছে, সাত থেকে আটজন এনসিবি আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে SIT।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২রা অক্টোবর গোয়াগামী কোর্ডেলিয়া ক্রুজ শিপ থেকে আরিয়ান খান-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। পরবর্তীতে বম্বে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয় শাহরুখ পুত্রকে। তবে চার্জশিটে এনসিবি অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেনি আরিয়ানকে। কারণ শাহরুখ পুত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছিল না কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে, তবে ছাড় পায়নি আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট।