বৃহস্পতিবার বিকাল ৪.৪০ নাগাদ বম্বে হাই কোর্ট ঘোষণা করল রায়। মঞ্জুর হল আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন। তবে রায়ের বিস্তারিত প্রতিলিপি শুক্রবার সামনে আসবে। তাই আপতত আর্থার রোড জেলেই রয়েছেন আরিয়ান। এদিন জেল কর্মীরা আরিয়ানকে জামিন মঞ্জুর হওয়ার খবর পৌঁছে দেয়।
জেল সূত্রে খবর, জামিন কবুল হওয়ার কথা জেনে স্বভাবতই খুশি হয়েছে আরিয়ান। পাশাপাশি জেল কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আরিয়ান খানের কাছে পৌঁছায় এই সুখবর। জানা গিয়েছে জেলের ভিতরের বহু বন্দি এবং অভিযু্ক্তর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করবার কতা জানিয়েছেন আরিয়ান খান। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে আইনি সহায়তা প্রদান করবার কথাও দিয়েছে শাহরুখ-পুত্র।
গ্রেফতারির ২৬ দিন পর মাদক-কাণ্ডে গ্রেফতার আরিয়ান খান জামিনে মুক্তি পেল। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় অবশেষে স্বস্তিতে শাহরুখ-গৌরী। শুক্রবার জামিনের রায়ের প্রতিলিপি হাতে এলেই শুরু হবে আরিয়ান খানের আর্থার রোড জেলের বাইরে আসার প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামিকালই মন্নতে ফিরবেন আরিয়ান খান।
গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খান ও তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তারপর থেকে তোলপাড় গোটা দেশ। শাহরুখ পুত্রের থেকে নিষিদ্ধ মাদক না মিললেও তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে এনসিবি। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮(সি), ২০বি (মাদক কেনা), ২৭ (মাদক সেবন), ২৮ (অপরাধের চেষ্টা), ২৯ (ষড়যন্ত্র) এবং ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনসিবি।
কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে বলা হয়, গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করছে আরিয়ান। এবং বিপুল পরিমাণ মাদকের লেনদেন নিয়ে সে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি মাদক চক্রীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। আরিয়ানের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ( ৬৫ বি সার্টিফিকেট সহ), পঞ্চনামা এবং সিক্রেট নোটের উল্লেখ করেন এনসিবির কৌঁসুলি। বৃহত্তর মাদকচক্রের অংশ আরিয়ান, বারবার এনসিবির এই যুক্তি খাড়া করবার চেষ্টা করে, তবে এদিন আরিয়ানের জামিনে শিলমোহর দিল হাই কোর্ট।