ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পর সেশন কোর্টেও ধাক্কা খেল আরিয়ান খান। শাহরুখ খান পুত্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলেন মুম্বইয়ের বিশেষ এনডিপিএস আদালতের বিচারক ভিভি পাটিল। রিয়ানের পাশাপাশি তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট এবং মামলার অপর অভিযুক্ত মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদনও খারিজ করেছে আদালত।
আরিয়ানকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে কোনও খামতি রাখেননি শাহরুখ-গৌরী। আদালতে আরিয়ানের হয়ে সওয়াল করেছেন সিনিয়র আইনজীবী অমিত দেশাই এবং সতীশ মানেশিন্ডে। তবুও এনসিবির দলিল উপেক্ষা করে আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করল না আদালত। শুরু থেকেই আরিয়ান খানের জামিনের বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আরিয়ানের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হয়নি ঠিকই, তবে আরবাজের কাছ থেকে পাওয়া নিষিদ্ধ মাদক আরিয়ানও ব্যবহার করত ওই ক্রুজে তা স্পষ্ট জানিয়েছে সংস্থা। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮(সি), ২০বি (মাদক কেনা), ২৭ (মাদক সেবন), ২৮ (অপরাধের চেষ্টা), ২৯ (ষড়যন্ত্র) এবং ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। আরবাজ মার্চেন্টের থেকে ৬ গ্রাম এবং মুনমুন ধামেচার থেকে ৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছিল এনসিবি।
এদিন আরিয়ান খানের জামিন খারিজ হওয়ার পর সেই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। তবে সবশেষে তিনি দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন, ‘সত্যমেব জয়তে'। গোয়াগামী ওই ক্রুজে এনসিবির অপারেশনের যাবতীয় দায়িত্ব ছিল সমীর ওয়াংখেড়ের কাঁধে। আরিয়ান খানের নাম এই মামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছে এনসিবিকে। এমনকি মহারাষ্ট্রের শাসকদলের বেশ কিছু নেতা ব্যক্তি আক্রমণ করতেও ছাড়েননি সমীর ওয়াংখেড়েকে।
এনসিবির তরফে আদালতকে এএসজি অনিল সিং জানিয়েছিলেন, আরিয়ান খান বহুবছর ধরে নিয়মিত ড্রাগস সেবন করত। ‘ওদের বয়স কম, বাচ্চা ছেলে', ডিফেন্সের এই যুক্তি এখানে খাটে না, ওরাই তো দেশের ভবিষ্যত'। অনিল সিং আরও জানিয়েছিলেন, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে এসেছে মাদকচক্রীদের সঙ্গে সরাসরি ড্রাগস কেনাবেচার কথা বলেছে, সেখানে টাকার লেনদেনের কথাও হয়েছে। কোনওভাবেই ওকে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দেওয়া যায় না।
আপতত আর্থার রোড জেলেই বন্দি থাকছেন আরিয়ান। ছেলেকে ঘরে ফেরাতে এবার হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়তে হবে শাহরুখ-গৌরীকে। সেশন কোর্টের রায়ের কপি হাতে পেলে তা পর্যালোচনা করে তারপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানাবেন আরিয়ান খানের কৌঁসুলিরা।