গত ৩ অক্টোবর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান খানকে।একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও জেলের বাইরে আসতে পারেননি আরিয়ান। মন্নত ছেড়ে আর্থার রোডের জেলে কাটাতে হচ্ছে আরিয়ানকে।বর্তমানে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শাহরুখ-পুত্রের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার মেয়াদ। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় অবধি তাঁকে হেফাজতে থাকার থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।অর্থাৎ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই আরিয়ান জামিনের আবেদন করা হয়েছে বম্বে হাই কোর্টে। যার শুনানি হওয়ার কথা মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর।
বারবার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় স্বভাবতই মনমরা হয়ে পড়েছেন আরিয়ান। সেজন্য, জেল আধিকারিকরাই নাকি তাঁকে বই মনে মন ঠিক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, জেলের মধ্যে নাকি আপাতত বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন শাহরুখ-পুত্র। জেল লাইব্রেরি থেকে আরিয়ানের জন্য গোটা দু'য়েক বইয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটির নাম 'দ্য লায়ন'স গেট'। অন্য বইটি ধর্মীয় বিষয়ে। জানা গেছে, শ্রী রামচন্দ্র এবং সীতাকে নিয়ে বর্ণিত সেই বইয়ে আপাতত ডুব দিয়েছেন আরিয়ান। এক মনে নাকি সেই বই পড়ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জেলের নিয়ম অনুযায়ী কোনও বন্দি বই পড়ে সময় কাটাতে চাইলে জেল লাইব্রেরি থেকে তাঁর জন্য বই পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। চাইলে বন্দির আত্মীয়রাও তাঁকে বই পাঠাতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তা স্রেফ ধর্মীয় বই হতে হবে। আবার কোনও বন্দি যদি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে জেলেই তাঁর কোনও বই ফেলে রেখে যায় তবে সেই বই স্থান পায় জেলের লাইব্রেরিতে।
অন্যদিকে, শনিবার সাত সকালে এনসিবির দফতরে হাজির হয়েছিলেন শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। এর আগে শাহরুখের বাংলো 'মন্নত'-এ গিয়ে পূজাকে নোটিস দেন এনসিবি অফিসাররা। হঠাৎ কেন তিনি সেখানে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন? সূত্রের খবর, শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। অতীত চিকিৎসার নথি, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি যাচাই করার জন্যই পূজাকে তলব করেছিল এনসিবি।