‘বর নে বানাদি জোড়ি’, বিরাট-অনুষ্কাকে দেখে একথাই বলে উঠেন অনুরাগীরা। দুইজনেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল, অথচ সেই সাফল্যের চাকচিক্য কোনওদিন অন্তরাল হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁদের প্রেমকাহিনিতে। চলতি বছরেই বিরুষ্কার জীবনে এসছে ফুটফুটে পরী। ভামিকা পূর্ণতা দিয়েছে তাঁদের সম্পর্ককে। আজ বিরাট কোহলি ৩৩-শে পা দিলেন। আর বিরাটের জন্মদিনে মনের ঝাঁপি খুললেন অনুষ্কা। বরের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগী ভামিকার মা।
এদিন ইনস্টাগ্রামে বিরাটকে জাপটে ধরা একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। হলুদ সালোয়ারে হাসিমুখে অনুষ্কা, বিরাটের পরনে সাদা রঙা চিকনকারি কাজের পাঞ্জাবি। বার্থ ডে বয়ও হাসছেন খিলখিল করে, সেই অনাবিল হাসিই আপনাকে মুগ্ধ করবে। খুব সম্ভবত দুবাইয়ে জুটির দিওয়ালি সেলিব্রেশনের ফাঁকে তোলা ছবি এটি। স্বামীর জন্মদিনে অনুষ্কা দীর্ঘ একটি পোস্ট লেখেন, খোলা চিঠিও বলতে পারেন।
বিরাটকে উদ্দেশ্য করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই ছবিটার জন্য ফিল্টারের দরকার নেই, ঠিক যেমন তোমার জীবনযাপনের ধরনে কোনও বাহ্যিক ভনিতা নেই। তুমি অন্তর থেকে সৎ এবং ইস্পাতের মতো সাহস। এমন সাহস যা সন্দেহকে এক নিমেষে ফিকে করে দেয়। তোমার মতো অন্ধকার থেকে নিজেকে টেনে বের করতে পারে এমন আর কাউকে আমি চিনি না। তুমি নির্ভীক, সেই কারণেই সবদিক থেকে তুমি উন্নতি করো প্রতিদিন কারণ কোনও জিনসটা চিরস্থায়ী এটা তুমি বিশ্বাস করো না। আমি জানি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অন্যের সঙ্গে কথা বলার লোক নই, কিন্তু কখনও কখনও আমার ইচ্ছে করে চিৎকার করে গোটা পৃথিবীকে বলি যে তুমি কতটা দুর্দান্ত একজন মানুষ। তাঁরা সৌভাগ্যবান যাঁর তোমাকে কাছ থেকে চেনে। ধন্যবাদ আমার প্রতিটা দিনকে আরও উজ্জ্বল আরও সুন্দর করে তোলবার জন্য। আর হ্যাঁ, শুভ জন্মদিন কিউটনেস!!’
২০১৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের সময় প্রথম দেখা হয়েছিল বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার। প্রথম দেখতেই অনুষ্কাকে মনে ধরেছিল বিরাটের। চার বছর চুটিয়ে প্রেম করবার পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইতালির লেক কোমোতে রূপকথার বিয়ে সেরেছিলেন বিরাট-অনুষ্কা। এখন ভামিকাকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ তাঁদের।