দুই বোনের গলাতেই মা সরস্বতীর বাস। যদিও বড় বোন, বছরখানেক আগেই পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। এখনও দিদির কথা বলতে গেলে, কান্নায় গলা বুজে আসে ছোট বোনের। তবে একসময় দিদির সেক্রেটারির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন ছোট বোন। জানেন কি কাঁদের কথা হচ্ছে?
বলিউড গায়িকা আশা ভোঁসলে তাঁর অসাধারণ গায়িকী এবং কণ্ঠের মধুরতার জন্য বিখ্যাত। গায়িকা প্রায় ৭৭ বছর ধরে হিন্দি সিনেমার জগতে গান গেয়ে আসছেন। জাতীয় পুরস্কর জয়ী আশার বর্তমানে ৯১ বছর। দিদি অন্তপ্রাণ এখনও। তবে এহেন আশার জীবনেও এমন একটা সময় এসেছিল, যখন মঙ্গেশকর পরিবার তাঁকে ত্যাগ করেছিল তাঁকে। লতা মঙ্গেশকরও দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন বোনের সঙ্গে। কারণ, আশা পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে পালিয়ে গিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিগত সচিব ৩১ বছর বয়সী গণপত রাওয়ের সঙ্গে।
লতা মঙ্গেশকর সেই সময় নিজের নাম কামিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই সময় তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন গণপত রাও। দিদির সঙ্গে থাকা গণপতের প্রতি ১৬ বছর বয়সী আশার মনে তৈরি হয়েছিল ভালোবাসা। সেই বয়সে প্রেম এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। এই বিয়ে এবং সম্পর্কের বিরুদ্ধে যান লতা। বোনের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে তাঁকে ত্যাগ করেন। গণপত রাওয়ের সঙ্গে বিয়েতে তিনটি সন্তান হয় আশার-- আনন্দ, বর্ষা এবং হেমন্ত।

এমন খবর রয়েছে যে গণপত রাও চেয়েছিলেন আশা যতটা সম্ভব অর্থ উপার্জন করুক। তিনি চেয়েছিলেন, দিদি বোন লতার চেয়ে বেশি গান পান আশা। এই ‘লোভই’ আশার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ফাটল তৈরি করে। এটাও বলা হয় যে আশার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এত খারাপ ব্যবহার করত যে, গায়িকা একসময় তাঁর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে মায়ের কাছে ফিরে আসেন।
সন্তানদের দেখে মঙ্গেশকর পরিবারের মন গলে যায় এবং আশাকে আবার বাড়িতে জায়গা দেওয়া হয়। ১৯৬০ সালে আশা গণপত রাওয়ের সাথে চিরতরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর আশার নাম সঙ্গীত পরিচালক ও.পি. ন্যয়্যারের সঙ্গেও জড়ায়। বলা হয় তাদের প্রেমের সম্পর্ক প্রায় ১৪ বছর স্থায়ী ছিল। এরপর আশার জীবনে ৬ বছরের ছোট রাহুল দেব বর্মনের আগমন ঘটে। তাদের মধ্যে প্রেম হয় এবং ১৯৮০ সালে বিয়ে হয়। তবে রাহুল দেব বর্মনের মা এই বিয়ে এবং আশার আগের সন্তানদের বিরোধী ছিলেন। যদিও সবটা ঠিক হয়ে যায়। বিয়ের ১৪ বছর পর রাহুল দেব বর্মনের মৃত্যু হয়।