বিখ্যাত গায়িকা হিসেবেই আপনারা নিশ্চয়ই চেনেন আশা ভোঁসলেক গায়িকা হিসেবে বেশি চেনেন। অনেকেই পরিচিত নন, তাঁর আরও একটি পেশা নিয়ে। আর সেটি হল শেফ। খুব ভালো রান্না করতে পারেনি তিনি। পাশাপাশি, বিশ্বজুড়ে একাধিক ভারতীয় রেস্তোরাঁর মালিক। আর সেই রেস্তোরাঁগুলিতে তাঁর তৈরি বিশেষ বিশেষ পদও স্থান পেয়েছে মেনুতে।
আশা ভোঁসলে ফুড ও ট্রেভেল ভ্লগার কামিয়া জৈনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন যে, তাঁর বাচ্চারা প্রায়শই অন্য কারও রান্নার প্রশংসা করত। যা তাঁকে খুব দুঃখ দিত। কারণ নিজের কাজের জন্য, সন্তানদের জন্য খাবার রান্না করার সুযোগই পেতেন না।
আশার কথায়, ‘আমার বাচ্চারা অন্যের রান্না উপভোগ করছে এবং প্রশংসা করছে, এটা আমার একদম ভালো লাগত না। আমি মনে ভাবতাম, এটা আমাকে বদল করতেই হবে।’ আর তারপরই আশেপাশের মানুষের থেকে কিছু উপদেয় খাবার তৈরি শেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এবং শিখেও যান। আশার তৈরি মা কি ডাল, মোমো-র মতো খাবার বেশ জনপ্রিয় এই রেস্তোরাঁগুলিতে।
আঁশা-র বিয়ে ও সন্তান:
খুব ছোট বয়সে বিয়ে করে নিয়েছেন আশা ভোঁসলে। নিজের থেকে বয়সে প্রায় দ্বিগুণ, দিদি লতার সেক্রেটারির হাত ধরে পালিয়েছিলেন! ৩১ বছরের গণপত ভোঁসলের সঙ্গে, নিজের ছোট বোন আশার বিয়ে মানতে পারেননি লতা সেই সময়। ফলে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়েছিল দুই বোনের। এই বিয়ে থেকেই ৩ সন্তান হয় তাঁর।
তবে বিবাহিত জীবনে সেই সময় খুব বেশি সুখ পাননি। শ্বশুরবাড়ির লোকের থেকে সেভাবে কখনো বাড়ির বউ হিসেবে মর্যাদাও পাননি। একসময় নির্যাতনের কারণে সন্তানদের নিয়ে ঘর ছাড়েন। যদিও ডিভোর্স নেননি। ১৯৬৫ সালে মারা যান গণপত। ১৯৮০ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন আশা। বিয়ে করেন আরডি বর্মনকে। এই বিয়ে থেকে কোনো সন্তান হয়নি গায়িকার।
কদিন আগে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ডিভোর্স নেওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় গায়িকাকে। রবি শঙ্করের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রকাশ করেন, স্বামীর সঙ্গে শত সমস্যা থাকলেও, তিনি কখনো ডিভোর্স নেওয়ার কথা ভাবেনওনি। ‘আজকাল শুনি দম্পতিরা প্রতি মাসেই নাকি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমি অনুভব করি, আজ যেন প্রেম খুব জলদিই শেষ হয়ে যায়। তাঁরা খুব দ্রুতই একে-অপরের উপর বিরক্ত হয়। সম্ভবত এটাই একটি প্রধান কারণ (ডিভোর্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার)।’