শীঘ্রই ৯০-এ পা রাখবেন কিংবদন্তি আশা ভোসলে। ৮ সেপ্টেম্বর আশার ৯০তম জন্মদিন। আশার এই জন্মদিন উদযাপনের জন্য দুবাইতে একটি বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতীয় সিনেমার প্লেব্যাক গানের ইতিহাসে লতা ও আশা, দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে দিদি লতার থেকে আলাদা করার বিষয়ে কথা বলেছেন আশা।
আশা ভোসলে ETimes কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যদি ওঁর (লতা মঙ্গেশকর)-এর মতো গান করতাম, তাহলে কেউ আমাকে কাজ দিত না।’ আর তিনি-একথা নিজের কেরিয়ারের শুরুতেই উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি যে ধরনের গান গেয়েছেন বা যে ধরনের গানের সঙ্গে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন এবং তাঁর কণ্ঠস্বর সবই আলাদা ছিল। আশা ভোসলে বলেন, তিনি জানতেন যে তাঁর গলা তাঁর বোনের থেকে আলাদা। তাই তিনি এটিকে আরও 'তীক্ষ্ণ' করেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন যদি তিনি একই রকম 'নরম' সুরে গান করেন তাহলে তিনি কাজ পাবেন না।
আরও পড়ুন-Asha Bhosle: ‘কিচ্ছুটি ভুলিনি, আমিই এই ইন্ডাস্ট্রির শেষ মুঘল’, একথা কেন বললেন আশা ভোসলে
আশা ভোসলে বলেন, ‘ইনা মিনা ডিকা’ এর পরেই লোকেরা তাঁর বহুমুখীতার প্রশংসা করতে শুরু করেছিলেন। সকলে বলেন, যে তিনি একটি মদন মোহন নাম্বরের সাথে ঠিক ততটাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন যতটা তিনি শঙ্কর জয়কিশেন ট্র্যাকের সঙ্গেও ছিলেন। কোলহাপুরে থাকাকালীন তিনি ইংরেজি গানও শুনতেন এবং ইংরাজি গানের মাধ্যমে ভোকাল মড্যুলেশন শিখতেন। আশার কথায়, ‘আমি আমার ভয়েস ভাইব্রেট করা এবং সোজা নোটে আঘাত করার মতো বিষয়গুলো আমি বুঝতাম।’
আশা ভোসলে আরও দাবি করেছেন যে তিনি কখনই নাকি প্লেব্যাক সিঙ্গার হতে চাননি। কিন্তু 'পরিস্থিতির কারণে' প্লেব্যাক সিঙ্গার হয়ে উঠেছিলেন। আশা জানান, তিনি এখনও প্রতিদিন সকালে উঠে 'রেওয়াজ' করেন এবং কখনও কখনও রাতে ঘুম না এলেও রেওয়াজ করতে বসে যায়, এমনকি ঘড়িতে যদি রাত ২ বাজলেও অসুবিধা নেই। প্রসঙ্গত আশা ভোসলে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জীবন্ত কণ্ঠশিল্পীদের একজন। গত আট দশক ধরে গানের দুনিয়ায় রয়েছেন আশা ভোসলে। ১৯৪৩ সালে আশা প্রথম সিনেমার জন্য গান গেয়েছিলেন।