কিছুদিন আগেই ৫৭ বছর বয়সে এসে বিবাহিত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন বলিউডের অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। কলকাতার এক ফ্যাশন ডিজাইনার, যিনি কিনা আদতে একজন অহমিয়া তাঁকে বিয়ে করলেন আশিস। এটা রূপালিরও দ্বিতীয় বিয়ে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আশিস জানালেন কীভাবে তাঁর সঙ্গে রূপালির প্রথম দেখা হয়, কেন তিনি বিয়ের মতো গুরুতর সিদ্ধান্ত নেন সবটাই। পাশাপাশি অভিনেতা জানান তাঁর এই দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত তাঁর পরিবারকে অনেকটাই আঘাত দিয়েছে। তাঁদের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সহজ ছিল না।
এর আগে পিলু বিদ্যার্থী তাঁর প্রাক্তন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নিজের মত জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'মানুষের মাথায় একটা বদ্ধমূল ধারণা গেঁথে গিয়েছে যে তুমুল ঝগড়া, অশান্তি না হলে মানুষ বিচ্ছেদের পথে হাঁটে না। কেউ এটা মানতেই পারে না যে মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবেও আলাদা হতে পারেন। আসলে সবার গসিপ করার একটা টপিক চাই। ওঁদের মতে, হয় আমি বা আশিস কেউ একজন ভুল।'
পিলুর পর টেলিগ্রাফের টি২-কে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে আশিস তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে, রূপালির সঙ্গে আলাপ সহ নানা বিষয় জানিয়েছেন। অভিনেতা বলেছেন, 'পিলুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আমার একটা ব্লগিংয়ের কাজের সময় আমার সঙ্গে রূপালির আলাপ হয় গত বছর। আমরা এরপর থেকে কথা বলতে থাকি। আমি বুঝি ও নিজেও অনেক কষ্ট, ঝড়ঝাপটার মধ্যে দিয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগে ওর স্বামী মারা গিয়েছে। তারপর ও এর বিয়ে করবে না করে ঠিক করে। কিন্তু আমাদের কথা যত বাড়ে তত ও বোঝে যে জীবনটা নতুন করে শুরু করা যায়। আমি ভীষণ খুশি যে আমি আমার জীবনটা আবার এমন একজন মানুষের সঙ্গে শুরু করলাম যে জীবনটাকে অন্য ভাবে দেখে। ওর এখন ৫০ আমার ৫৭। তাতে কী? আমাদের বয়স, সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন আমাদের সবার সুখী হওয়ার অধিকার আছে।'
তিনি আরও বলেন, তাঁর পরিবারের নাকি তাঁর এই দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত মানতে বেশ অসুবিধা হয়েছিল। তাঁদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তাঁর কথায়, 'পিলু আর আমি অনেক সুন্দর স্মৃতি এবং সুন্দর বিয়ে নিয়ে জীবনে এগিয়ে চলেছি। আমি পিলুকে কখনও স্রেফ আমার ছেলের মা হিসেবে দেখিনি। পিলু আমার স্ত্রী, আমার বন্ধু। তাই ভাববেন না আমরা সিদ্ধান্তটা অনেক আনন্দের সঙ্গে নিয়েছি। দুজনকেই কষ্ট পেতে হয়েছে। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না।'