চলতি বছরের ২৫ মে দ্বিতীয় বিয়ের খবর দিয়ে সকলকে একপ্রকার চমকে দিয়েছিলেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। আর বিয়ের পর থেকেই কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি আশিস আর রূপালীকে। যার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল তাঁদের বয়স। একজনের ৫৭, অন্য জনের ৫০। দুজনেই কুরুচিকর আক্রমণের শিকার হতে থাকেন নেটপাড়ায়। আশিস ও রূপালির অতীত নিয়ে খোঁচা থেকে শুরু করে, বয়স নিয়ে নোংরা মন্তব্য ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুললেন কর্তা আর গিন্নি দুজনেই।
আশিস সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘ভালোবাসা আর ভালোলাগার ক্ষেত্রে কাউকে কিছু প্রমাণ করার থাকে না। আমাদের দুজনেরই কারও সামনে কোনও কিছু প্রমাণ করার ছিল না। আমরা এমন কিছু করেছি যা আমাদের দুজনকে খুশি রাখে।’
মুখ খুললেন আশিসের নতুন বউ রূপালিও। তাঁদের বিয়ে নিয়ে ওঠা ট্রোল প্রসঙ্গে জানালেন, ‘আমি এসবে পাত্তাও দেই না, কারণ এই মানুষগুলোকে তো আমি চিনিই না। তারা এমন কিছু দেখেছে যা হয়তো সাধারণ মানুষের কাছে কোনও রোজকার ঘটনা নয়। কারণ তাঁদের এই সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই।’ নিজের বক্তব্য রূপালি এরপর আরও যোগ করেন, ‘আমার উপরে এসব নেতিবাচক জিনিস প্রভাব ফেলতে পারেনি কারণ আমি ওসব কমেন্ট পড়িনি। আমার কাছের মানুষরা আমার পাশে ছিল। আমার আর কারও কাছ থেকে কোনও বৈধতা পাওয়ার প্রয়োজন নেই।’
প্রসঙ্গত, রূপালি-আশিসের বিয়ের খবর সামনে আসার পর অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন কারণ রাজোশির প্রথম বিয়ে ভাঙার খবর কখনও সামনেই আসেনি। অভিনেত্রী-গায়িকা রাজোশি (পিলু) বড়ুয়ার সঙ্গে ২২ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাঁর। তবে রূপালি আর আশিসের ছবি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে রাজোশি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান তাঁদের ডিভোর্সের কথা। কারণ হিসেবে বলেন, ভবিষ্যত নিয়ে দুজনের ভাবনা বদলে যাওয়ায় আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে এও স্পষ্ট করে বলে দেন, আশিসের চাহিদার তাঁর চাহিদা খাপ খাচ্ছিল না। আশিস ও রাজোশির একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, নাম অর্থ।
অন্য দিকে, আশিসের দ্বিতীয় স্ত্রী রূপালী অসমের মেয়ে। ফ্যাশন জগতে কাজ করছেন, কলকাতাতে রূপালির নিজস্ব একটি ফ্যাশন হাউস রয়েছে। করেন মডেলিংও। রূপালিরও দ্বিতীয় বিয়ে এটি, তাঁর প্রথম স্বামী বেশ কয়েক বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন। রূপালির প্রথম পক্ষের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।