অভিনয়ের খাতিরে কখনও ভালো, কখনও খারাপ চরিত্রে অভিনয় করতে হয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের। কিন্তু আলোকনাথ হলেন সেই অভিনেতা, যিনি সব সময় পজিটিভ চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। কিন্তু কথাতেই আছে না, রিল এবং রিয়েল লাইফ সম্পূর্ণ আলাদা হয়। আলোকনাথের বিরুদ্ধেও তাই এসেছিল একের পর এক যৌন হেনস্তার অভিযোগ। এবার আলোকনাথের বিরুদ্ধে মুখ করলেন সহ অভিনেত্রী হিমানি শিবপুরি।
হিমানি শিবপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক পুরনো অভিনেত্রী। আলোকনাথের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন হিমানী। ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘পারদেশ’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ সহ একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা অভিনেত্রী। একে অপরের বিপরীতে অভিনয় না করলেও স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তাঁরা।
(আরও পড়ুন: প্যানিক অ্যাটাক, কখন এটির সম্মুখীন হতে পারেন? লক্ষণগুলি জেনে নিন)
সম্প্রতি আলোকনাথের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হিমানী বলেন, ‘দিনের বেলা আলোকনাথ পেশাদার একজন অভিনেতা হিসাবে ব্যবহার করলেও সন্ধে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পাল্টে যেত। অ্যালকোহলে আসক্ত আলোকনাথের ব্যবহার পাল্টে যেত যখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন।’ আলোকনাথের এই ব্যবহারের কথা হিমানি প্রথম জানতে পারেন যখন তিনি ‘ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’য় অভিনয় শিখতেন।
হিমানি বলেন, ‘আমি সবসময় শুনতাম আলোকনাথ মদ্যপ অবস্থায় একেবারে আলাদা ব্যক্তি হয়ে যেতেন। এই কথাটি যে কতটা সত্যি তা আমি বুঝতে পেরেছিলাম ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় থাকাকালীন একটি ঘটনায়। তবে ওই একটি ঘটনা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আর অন্য কোনও খারাপ ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি আমাকে। তবে আলোকনাথের বিরুদ্ধে বহু অভিনেত্রীর কথা শুনেছি আমি।’
অতীতের আরও একটি ঘটনা শেয়ার করতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘তখন দেশের বাইরে একটি অ্যাওয়ার্ড শোয়ে একসঙ্গে গিয়েছিলাম আমরা। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগেই তিনি মদ্যপ অবস্থায় এমনভাবে অশ্লীল আচরণ করতে শুরু করেন যে তাঁর স্ত্রী পর্যন্ত তাঁকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না। অবশেষে আলোকনাথের আচরণের জন্য গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। রাত আটটা বাজলেই সংস্কারী আলোকনাথ একেবারে অন্য মানুষ হয়ে যান, এ কথা ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবাই জানেন।’
(আরও পড়ুন: ইন্টারনেটে ভাইরাল ঘি চা, কেন খাবেন এই চা? কী উপকার পাবেন আপনি)
প্রসঙ্গত, আলোক নাথকে চিরকালই নিপাট ভদ্রলোকের চরিত্রে দেখা গেছে বড় পর্দায়। তবে ২০১৮ সালে ‘মি টু’ আন্দোলনে আলোকনাথের বিরুদ্ধে যখন একাধিক অভিনেত্রী যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন, তখন থেকেই আলোকনাথের পজিটিভ ইমেজে দাগ লাগতে শুরু করে। সহ অভিনেত্রী হিমানির এই বক্তব্য সেই দাগ যে আরও কিছুটা গভীর করে দিল, তা বলাই বাহুল্য।