২০০০ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট মাথায় উঠেছিল অভিনেত্রী লারা দত্তর। এখনো সেই স্মৃতি তাঁর কাছে তরতাজা। বলিউড অভিনেত্রী সেই মুহূর্তে ভারতের ইতিহাসে আরো এক অধ্যায় যোগ করেছিলেন। দ্বিতীয়বারের মতো কোনও ভারতীয় প্রতিযোগির এই শিরোপা জিতেছিল। প্রথমবার ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের খেতাব জয়ী ছিলেন সুস্মিতা সেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ৪৩-এ পা দিলেন অভিনেত্রী লারা দত্ত। সেই সময় ফাইনালিস্ট প্রতিযোগিদের যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ফের একবার সেই প্রশ্ন স্মৃতির পাতা উলটে দেখা যাক। তখন তাঁর সহ প্রতিযোগি ছিলেন ভেনিজুয়েলা থেকে ক্লডিয়া মরিনো এবং স্পেনের হেলেন লিন্ডেস। সেই সময় সাইপ্রাসে প্রতিবাদ করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানকার লোকেরা বলেছিলেন, এই ঘটনাটি মহিলাদের অসম্মান করে।
বিক্ষোভকে মাথায় রেখে লারা, ক্লডিয়া এবং হেলেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: ‘এই মুহূর্তে বাইরে বিক্ষোভ চলছে, তাঁরা বলতে চাইছে মিস ইউনিভার্স পিজিয়েন্ট মহিলাদের জন্য অসম্মানজনক। তাঁদের বোঝাও তাঁরা ভুল’।
আত্মবিশ্বাসী লারা জবাব দেন, ‘আমি মনে করি মিস ইউনিভার্স পেজেন্টের মতো পেজেন্টস, আমাদের মতো যুবতী মহিলারা যে ক্ষেত্রগুলিতে যেতে চাইবে এবং তাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি প্ল্যাটফর্ম দেয়, আপনি শিল্পপতি হোন, সশস্ত্র বাহিনী হোন, রাজনীতিবিদ হোন যেটাই হতে চাইবেন। এটি আমাদের পছন্দ এবং মতামতকে জায়গা দেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দেয় এবং আমাদের আরো দৃঢ়, স্বাধীন করে তোলে যেটা আমরা আজ’। উত্তরটি বিচারকদের মনে ধরেছিল এবং মিস ইউনিভার্সের খেতাব জয়ী হয়েছিলেন লারা।
দু’দশক ধরে লারা অসংখ্য বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি ‘আন্দাজ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ছবিতে তাঁর পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমার এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, যে ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতেছিল। এছাড়াও পার্টনার, ডন ২, হাউসফুল-এর মতো একাধিক ছবিতে অক্ষয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন লারা। খুব শীঘ্রই তাঁকে ‘বেল বটম’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে, অক্ষয় কুমারের সঙ্গে। ছবিতে আরো রয়েছেন হুমা খুরেশি এবং বানী কাপুর। গত বছর সেপ্টেম্বরে ছবির শ্যুটিং শেষ হয়েছে।
২০১১ সালে টেনিস তারকা মহেশ ভূপতিকে বিয়ে করেছেন প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স লারা দত্ত। তাঁদের একমাত্র মেয়ের নাম সাইরা।