অপেক্ষা শেষ। অবশেষে সাতপাকা বাঁধা পড়লেন সুনীশ শেট্টি কন্যা আথিয়া ও ভারতীয় দলের ক্রিকেটার কেএল রাহুল। আথিয়া ও রাহুল এখন থেকে বিবাহিত দম্পতি। মেয়ের বিয়ে প্রসঙ্গে সুনীল শেট্টি বলেন, ‘এখন থেকে আমি কেএল রাহুলের শ্বশুরমশাই’।
২৩ জানুয়ারি, সোমবার সুনীল শেট্টির খান্ডালার বাগানবাড়িতে বসেছিল আথিয়া ও কেএল রাহুলের বিয়ের আসর। মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাগানবাড়ি থেকে বের হয়ে হয়ে আসেন সুনীল। সুখবর জানিয়ে বলেন, এখন থেকে তিনি অফিসিয়ালি কে এল রাহুলের শ্বশুরমশাই। সহযোগিতার জন্য পাপারাৎজিদের ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায় সুনীলকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আথিয়ার ভাই আহান শেট্টি।
জানা যাচ্ছে, বিকেল ৪.১৫ নাগাদ আথিয়া ও কেএল রাহুলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই বিয়ে হয়েছে খুবই ব্যক্তিগত পরিসরে। দুই পরিবারের লোকজন আর কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব-ই এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সুনীল শেট্টি পাপারাৎজিদের জানিয়েছিলেন, ‘আথিয়া-রাহুলে বিয়ে হলে ওদের আমি মুম্বই নিয়ে ফিরব, সঙ্গো গোটা পরিবার থাকবে, আপনারা নির্দ্বিধায় ছবি তুলতে পারবেন।’
রবিবার, ২২ জানুয়ারি ছিল আথিয়া-রাহুলের সঙ্গীত। ওইদিনই সকালে মেহেন্দি ও গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন নিকট বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা। সেই অনুষ্ঠানের একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে অতিথিদের একাধিক বলিউডি গানে নাচতেও দেখা যায়। ভেন্যুর বাইরে থেকেই ভিডিয়োগুলো করা হয়েছে। সেখানে অতিথিদের বেশরম রং, হাম্মা হাম্মা, জুম্মা চুম্মা দে দে, দেখা জো তুঝে ইয়ার, আজ কী পার্টি, ইত্যাদি গানে জমিয়ে নেচেছেন।
জানা যাচ্ছে, সোমবার আথিয়া-রাহুলের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন শুধুমাত্র ১০০ জন। বিয়ের পোশাকে ছিল সাবেকিয়ানার ছোঁয়া, যার ডিজাইন করেছেন অনামিকা খান্না। দক্ষিণভারতীয় ঐতিহ্য মেনে ছিল বিয়ের মেনু। কলাপাতাতে খাবর পরিবেশন করা হয় বলে খবর। নিমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন সলমন খান, জ্যাকি শ্রফ, কৃষ্ণ শ্রফ, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার, বিরাট কোহলি, অংশুলা কাপুর, অর্জুন কাপুর সহ আরও বেশকিছু বলিউড ব্যক্তিত্ব। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে ফোন নিয়ে ঢোকার অনুমতি ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি একটি ককটেল পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল খান্ডালাতে।
জানা যাচ্ছে, আথিয়া ও রহুলের বিয়েটা ব্যক্তিগত পরিসরে হলেও এরপর মুম্বইয়ে রাখা হবে গ্র্যান্ড রিসেপশন, সেখানে প্রায় ৩০০০ জন আমন্ত্রিত থাকবেন। এদিকে ৯ ফেব্রুয়ারি বর্ডার গাভাসকর ট্রফি শুরু হতে চলেছে, তাই বিয়ের পর রাহুল সোজা গিয়ে ভারতীয় দলে যোগ দেবেন, আপাতত মধুচন্দ্রিমার কোনও পরিকল্পনা নেই আথিয়া-রাহুলের।