বক্স অফিসে জাঁকিয়ে ব্যবসা। কোনটা ৩০০ কোটি কোনটা ৫০০ কোটি কোনটা আবার ১০০০ কোটির ব্যবসা করছে। কিন্তু এদিকে হলে কমছে দর্শকদের সংখ্যা! এটা কীভাবে সম্ভব?
আরও পড়ুন: 'দারুণ এক্সাইটেড', এড শিরানকে দেখেই উচ্ছ্বসিত হয়ে জড়িয়ে ধরলেন অরিজিৎ! প্রকাশ্যে রিহার্সালের ঝলক
কী ঘটেছে?
সাম্প্রতিককালে বলিউডের হিট ছবিগুলো আকছার ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা করছে ভারতীয় বক্স অফিসে। কিন্তু সেই ছবিগুলোর ফুটফল ১৯৯০ বা ২০০০ এর সময়কার ছবিগুলোর ফুটফলের ধারপাশ দিয়েও যাচ্ছে না। কিন্তু এটা কেন? ট্রেড এক্সপার্টদের মতে আজ যে ছবিগুলো হিট করছে তার পিছনে বিপুল সংখ্যক দর্শক নেই। বরং আছে টিকিটের ব্যাপক দাম। অনেক বেশি দামে আজকাল এক একটি সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়।
এই বছরের ছবি স্ত্রী ২ ছবিটি ভারতীয় বক্স অফিসে ৩ কোটি ফুটফল ক্রস করতে চলেছে। গদর ২ বা জওয়ানের ক্ষেত্রেও সংখ্যাটা তাই। সেখানে ১৯৯৪ সালে হাম আপকে হ্যায় কৌন ছবির ফুটফল ছিল ৭.৩৯ কোটি। অর্থাৎ এত মানুষ সেই ছবিটি দেখিয়েছিলেন সেই সময়। এরপর আছে বাহুবলী ২। এই ছবি ৫.২৫ কোটি মানুষ দেখেছেন। আর গদর এক প্রেম কথা দেখেছিলেন ৫.০৫ কোটি মানুষ।
ফলে ফুটফল বা হলে দর্শকদের সংখ্যা যে কমছে সেটা স্পষ্ট। কিন্তু একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সিনেমা হলের টিকিটের দাম। প্রতি বছর ভারতের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করে টিকিটের দাম বাড়ানো হয় বলে জানানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে যে ছবিগুলো ব্যাপক হিট করেছিল যেমন গদর ২ বা জওয়ান এই ছবিগুলো মাত্র ৩.৫ কোটি এবং ৩.১ কোটি মানুষ দেখেছে। পাঠান আর অ্যানিম্যাল দেখেছে আরও কম মানুষ, মাত্র ২.৯ কোটি। ফলে বুঝতেই পারছেন মানুষ হলে যাওয়া ইদানিংকালে ভীষণ ভাবে কমিয়ে দিয়েছেন। ২০১৯ থেকে এখন অবধি ফুটফল কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। অন্যদিকে করোনাকালের আগের তুলনায় এখনকার টিকিটের দাম যদি তুলনা করে দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে সেটা প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। এমনটাই মিন্ট তাঁদের রিপোর্টে জানিয়েছে।