বাড়িতে ডাকাতি আটকাতে গিয়ে সইফ আলি খানের ছুরিকাঘাতে জখম হওয়ার ঘটনা এখন সংবাদের শিরোনামে। জানা গিয়েছিল, যে রাতে অভিনেতার উপর হামলা হয় সেই রাতে তাঁকে ভজন সিং রানা নামে এক অটোচালক তাঁর অটোয় করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর এবার সেই ভজন সিংকেই পুরস্কার দিতে চান সইফ ও তাঁর পরিবার। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই কথা শুনেই ভজন জানিয়েছেন পুরস্কার হিসেবে কোনও নগদ তিনি নেবেন না।
গত সপ্তাহে সইফ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে জখম হওয়ার পর ভজন সিংই তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। সইফ পাঁচ দিন হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে। তারপর সোমবার অভিনেতাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার আগে সইফ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সেই ভজন।
আরও পড়ুন: বন্ধুর বাগদানের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে মালাইকা-অর্জুন! বিচ্ছেদ ভুলে ফের এক হচ্ছেন তাঁরা?
নায়ক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল ভজনের? সেই প্রসঙ্গে অটোচালক ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে ভজনকে প্রশ্ন করা হয় সইফ যদি তাঁকে একটি অটোরিকশা উপহার দিতে চান তাহলে তা কি তিনি গ্রহণ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলে, ‘আমি এভাবে চাইতে তো পারি না, তবে যদি তিনি এটি উপহার দিতে চান তখন আমি তা সানন্দে তা গ্রহণ করব। আমি কখনও দাবি করিনি যে আমি যা করেছি তার জন্য আমি কোনও পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য, বা আমি লোভ থেকে এটা করছি।’
আরও পড়ুন: যিশুর সঙ্গে ডিভোর্সের গুঞ্জন, ‘স্মৃতি নিয়ে থাকব’, কার প্রসঙ্গে বললেন নীলাঞ্জনা?
পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, নায়ক তাঁকে সেই রাতের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করারও প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ভজন বলেন, ‘আমি ওঁকে কথা দিয়েছি যে আমি এই ধরনের কাজ এরপরও করব। যে কোনও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’ পুরস্কার হিসেবে টাকার প্রসঙ্গ উঠতে তিনি বলেন, ‘মানুষ এটা নিয়ে জল্পনা করুক। লোকে বলুক যে অভিনেতা আমাকে ৫০,০০০ বা ১,০০,০০০ টাকা দিয়েছে, তবে আমি এর পরিমাণ প্রকাশ করতে চাই না। তিনি আমাকে এই তথ্য ভাগ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন। আমি তাঁকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব। যাই হোক না কেন, এটা তাঁর এবং আমার মধ্যকার বিষয়।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পান ভজন। তিনি অভিনেত্রী পা ছুঁয়ে তাঁকে প্রণামও করেন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভজন জানান, শর্মিলা ঠাকুর তাঁর যথেষ্ট প্রশংসাও করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, সইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তখন তাঁকে ভাড়া দেওয়া হয়নি। তবে এতে তিনি কিছুই মনে করেননি। কারণ তখন পরিস্থিতি তেমনটা ছিল না। কারণ তখন টাকার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল মানুষটার জীবন।