সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে, সৃষ্টিশীল চেতনায় একসুত্রে বাঁধা পড়লেন ৪২ জন বাচিক শিল্পী। এই লকডাউনেই এবার ‘অভতার’ নিয়ে এল তাঁদের নতুন প্রয়াস—‘বিশ্ব জুড়ে গড়ব একটা নতুন দেশ’। করোনা বিদ্ধস্থ পৃথিবীর সকল মানুষকে নতুন করে বাঁচার, লড়াই করার সাহস যোগাতেই এই পদক্ষেপ। অ্যাসোসিয়েশন অফ ভয়েস আর্টিস্ট ট্রান্সস্ক্রিপ্টার্স অ্যান্ড রি-রেকর্ডিস্টস। সংক্ষেপে ‘অভতার’। অভতারের জন্ম হয়েছে খুব বেশি দিন নয়। কণ্ঠ তাঁদের শিল্পকর্মের মূল মাধ্যম। তাঁরা নেপথ্যের শিল্পী তাই মানুষ তাঁদের সেইভাবে চেনেন না। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া, বেশিরভাগ কন্ঠ শিল্পীরা প্রচারের আলো থেকে বহু দূরে। সম্মান, পারিশ্রমিক কোনওটাই তাঁরা যথাযত পান না। যাঁরা দুঃস্থ, অথচ ভালোবাসার টানে এই কাজটা করেন, এমন শিল্পীদের বিপদের দিনে সাহায্য করার কেউ নেই। এইসব অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতেই নিজেরা মিলে গড়ে তুলেছেন ‘অভতার’। উদ্দেশ্য সময়ে অসময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার। কিছুদিন আগে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছে এই অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার মুক্তি পেয়েছে তাঁদের কবিতা অ্যালবাম। এই কবিতায় অংশগ্রহণ করেছেন জগন্নাথ বসু, ঊর্মীমালা বসুর মত বিখ্যাত বাচিক শিল্পীরা। রয়েছেন, মানসী সিনহা, সুদীপ মুখার্জী, নমীতা চক্রবর্তী, কৌশিক, প্রবীর দত্ত সহ ৪২ জন বাচিক শিল্পী। তাঁদের মধ্যে কিছু বাচিক শিল্পী নিয়মিত অভিনয় পেশার সঙ্গেও যুক্ত। অংশগ্রহণ করেছে মাত্র ৩ বছরের লাবণ্যা, কনিষ্ঠতম সদস্য। কবিতাটি রচনা এবং নির্দেশনা করেছেন সংগঠনের সেক্রেটারি অদ্রিজ চৌধুরী। সঙ্গীত আয়োজন অর্ঘ ঘোষ, মিক্সিং কৃষ্ণেন্দু মন্ডল এবং সম্পাদনা অভীক চক্রবর্তী। অভতারের সভাপতি শঙ্করী প্রসাদ মিত্র জানিয়েছেন, এই সময় তো বটেই, পরবর্তীতেও তাঁদের সংগঠনের তরফ থেকে প্রত্যেক জন সদস্য সরকারের পাশে থাকবেন এবং পথে নেমে সাধারণ মানুষকে বোঝাবেন তাঁরাও যেন যে কোনও গঠনমূলক কাজে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে এগিয়ে আসেন।