দিন কয়েক আগেই করোনা মোকাবিলার জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে কাজে লাগাতে নিজেদের চারতলা একটি অফিস বিল্ডিংয়ের দরজা খুলে দিয়েছেন শাহরুখ-গৌরী। সেই পথে হেঁটেই এবার অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়া ও তাঁর স্বামী ফারহান আজমি নিজেদের দক্ষিণ মুম্বইস্থিত হোটলের দরজা খুলে দিলেন। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনেকে এটি কোয়ারেন্টাই সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করার আর্জি জানিয়েছেন আয়েশা-ফারহান। স্পটবয়ই-কে ফারহান জানিয়েছেন, হ্যাঁ আমরা আমাদের গালফ হোটেলটি বিএমসিকে দিয়েছি কোয়ারেন্টাই সেন্টার তৈরির জন্য। এই সংকটের মুহূর্তে সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। এই হোটেলের দরজা আমরা বিএমসি এবং মুম্বই পুলিশের জন্য খুলে দিয়েছি।
২০০৯ সালে সমাজবাদী পার্টির নেতা, তথা মহারাষ্ট্রের বিধায়ক আবু আসিম আজমির পুত্রর সঙ্গে নিকাহ সারেন আয়েশা।
করোনার জেরে দেশজুড়ে সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেশবাসীর পাশে দাঁড়াতে কোনওরকম খামতি রাখছেন না শাহরুখ খান। সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছেন কিং খান। শিশু, বয়স্ক এবং মহিলাদের জন্য কোয়ারেন্টাই সেন্টার গড়তে চারতলা অফিস বিল্ডিং ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহরুখ-গৌরী। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের টুইট বার্তায় ধন্যবাদ জানানো হয়েছিল মিঁয়া-বিবিকে।
বিএমসি টুইটারের দেওয়ালে লেখে, 'আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই শাহরুখ খান ও গৌরী খানকে তাঁদের চারতলার ব্যক্তিগত অফিসের দরজা আমাদের জন্য খুলে দেওয়ায়। যাতে শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের জন্য কোয়ারেন্টাইন পরিষেবার জায়গা আমরা আরও বৃদ্ধি করতে পারি। সত্যিই একটা চিন্তাশীল এবং সময়োপযুক্ত ভাবনা'।
এছাড়াও শাহরুখের হ্যাপি নিউ ইয়ার কোস্টার সোনু সুদও করোনা যুদ্ধে শামিল জরুরি পরিষেবায় নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের যেমন-চিকিত্সক, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল কর্মীদের থাকার জন্য নিজের হোটেলের দরজা খুলে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরাই ‘আসল হিরো’, এই কঠিন পরিস্থিতিতে গোটা দেশের উচিত তাঁদের পাশে দাঁড়ানো, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন অভিনেতা সোনু সুদ।