আয়েশা টাকিয়া ইনস্টাগ্রামে যে শেষ পোস্টটি করেছিলেন, সেখানে অনেকেই তাঁর চেহারা নিয়ে করেন ট্রোল। এমনকী, প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন এমন দাবি তুলে রীতিমতো হেনস্থা করা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এরপরই সমালোচনার মুখে নিজের ইনস্টাগ্রাম ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। এখন, অভিনেত্রী আবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফিরে এসেছেন, এবং যারা তার চেহারা নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন, তাঁদের জন্য একটি কড়া বার্তাও রয়েছে তাঁর। যদিও একটু ঘুরিয়ে, সরাসরি বিতর্কতে জড়াতে চাননি আর।
ট্রোলারদের পাল্টা জবাব দিলেন আয়েশা
তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে, আয়েশা একটি রিল শেয়ার করেছেন যেখানে একজন মহিলাকে রাস্তায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। রিলটিতে একটি লাইন লেখা ছিল, যাতে লেখা ছিল, ‘হিংসে করছ? ডার্লিং তোমার সর্বোচ্চ আমার ন্যূনতম পর্যন্ত পৌঁছায় না।’
আর এর ক্যাপশনে আয়েশা লিখেছেন, ‘গেঁয়ো লোকগুলোর জন্য আমার মতামত’।
আরও পড়ুন:

এই প্রথমবার নয় যে, অভিনেত্রী তাঁর চেহারার কারণে সমালোচনাকারী ট্রোলদের নিন্দা করেছেন। তিনি এ বছরের শুরুতে একটি দীর্ঘ নোট লিখেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘’
এটি বলার দরকার ছিল, দু'দিন আগে গোয়ায় ছুটে গিয়েছিলাম ... আমার পরিবারে একটি মেডিকেল জরুরি অবস্থা ছিল... আমার বোন আক্ষরিক অর্থেই হাসপাতালে ভর্তি। এই সমস্ত কিছুর মধ্যে, আমার মনে আছে যে পাপারাৎজিরা আমাকে থামিয়ে দিয়েছিল এবং প্লেন ধরার আগে কয়েক সেকেন্ডের জন্য আমি তাদের জন্য পোজ দিয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, আমার চেহারা ব্যবচ্ছেদ করা ছাড়া দেশে আর কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘আক্ষরিক অর্থেই বলছি, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও। লোকেরা যেমন বলছে তেমন কামব্যাকের ইচ্ছে বা আগ্রহ আমার এখন একেবারেই নেই। আমি আমার জীবন সুখে কাটাচ্ছি, কখনও লাইমলাইটে থাকতে চাই না, কোনও খ্যাতিতে আগ্রহী নই, কোনও ছবিতে থাকতে চাই না ... সো চিল..। দয়া করে আমাকে এতটা পাত্তা দেবেন না।’
"আক্ষরিক অর্থে আমাকে ছাড়িয়ে যাও ইয়ার, লোকেরা যেমন বলছে তেমন কোনও ছবি বা কামব্যাক করার কোনও আগ্রহ আমার নেই। আমি আমার জীবন সুখে কাটাচ্ছি, কখনও লাইমলাইটে থাকতে চাই না, কোনও খ্যাতিতে আগ্রহী নই, কোনও ছবিতে থাকতে চাই না ... সো চিল.. প্লিজ নির্দ্বিধায় আমাকে পাত্তা দেবেন না।
টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আয়েশার। ‘দিল মাঙ্গে মোরে’, 'ডোর', 'নো স্মোকিং', 'ওয়ান্টেড', 'সালাম-এ-ইশক', 'পাঠশালা'র মতো সিনেমার জন্য তিনি বেশি পরিচিত।