নতুন শতাব্দীর গোড়ার দিকে বলিউডের একের পর এক সুপারহিট কমেডি ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। হেরা ফেরি দিয়ে শুরু, এরপর হাঙ্গামা, হলচল, গরম-মশালা, ভাগম ভাগ, ভুলভালাইয়া-অংখ্য-অজস্র কমেডি জঁর ছবি তৈরি করেছেন প্রিয়দর্শন। ১৭ বছর পর হাঙ্গামার সিক্যুয়েল নিয়ে হাজির হচ্ছেন পরিচালক। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই পরিচালক জানান, প্রথমে আয়ুষ্মান খুরানা, কার্তিক আরিয়ানের মতো বলিউড তারকাদের এই ছবির চিত্রনাট্য শুনিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেউই আগ্রহ দেখায়নি এই প্রোজেক্টে। প্রিয়দর্শন জানিয়েছেন, আমি নিজে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলিনি তবে এই ছবির কনসেপ্ট নিয়ে আয়ুষ্মান খুরানা, কার্তিক আরিয়ান, সিদ্ধার্থ মালহোত্রার মতো তারকাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা সকলে এই ছবির অফার ফিরিয়েছে। আমি এখন মিজানের সঙ্গে কাজ করছি। তাঁদের হয়ত মনে হয়েছে আমি সেকেলে পরিচালক। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রায় পাঁচ বছর দূরে ছিলাম আমি।
তিন দশক দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক ভাষায় ৯৫-টির বেশি ছবি পরিচালনা করেছেন প্রিয়দর্শন। মালয়ালি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেরিয়ার শুরু করা এই পরিচালক হিন্দির পাশাপাশি কাজ করেছেন তামিল,তেলুগু ছবিতেও।
পরিচালকের কথায় তিনি সেই সব অভিনেতাদের সঙ্গেই কাজ করায় বিশ্বাসী যাঁরা পরিচালকের উপর বিশ্বাস রাখে। তিনি বলেন, ওঁদের দেখে মনে হয়েছে আগ্রহ নেই। হয়ত মুখে বলেনি। আমি অভিনেতাদের কাছে ভিক্ষা চাওয়ায় বিশ্বাসী নই, যাঁরা আমার উপর ভরসা রাখে তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী’।
তবে হাঙ্গামা টু নিয়ে খুশি পরিচালক। তিনি জানান,হাঙ্গামা এবং তাঁর সিক্যুয়েলের মধ্যে মিল হল-‘কনফিউশন’। পুরোপুরি ভুলবোঝাবুঝির গল্প এই ছবিও। তবে দুটো ছবির স্টোরিলাইন এক্কেবারে আলাদা।
হাঙ্গামাতে অভিনয় করেছিলেন পরেশ রাওয়াল,সোমা আনন্দ, অক্ষয় খান্না. আফতাফ সিদ্ধসানি এবং রিমি সেন। ছবির সিক্যুয়েলে থাকছেন পরেশ রাওয়াল, বাকি কাস্ট সম্পূর্ন আলাদা। ছবিতে দেখা মিলবে জাভেদ জাফরি পুত্র মিজান জাফরির,এছাড়াও রয়েছেন শিল্পা শেট্টি এবং প্রনিথা সুভাষ। ছবির ৮০ শতাংশ কাজ শেষ। এখনও বাকি রয়েছে শেষ ১২ দিনের শ্যুটিং। করোনার জেরে আপতত থমকে কাজ। অগস্ট মাসে মুক্তি দিন নির্দিষ্ট রয়েছে পাওয়ার কথা হাঙ্গামা টু-র।