বলিপাড়ায় যেখানে একটি ছবি ফ্লপ করলেই তারকার 'ক্রেডিবিলিটি' নিয়ে ওঠে ফিসফাস সেখানে বক্স অফিসে নিজের পরপর তিনটি ছবি মুখ থুবড়ে পড়লে কী অবস্থা হতে পারে একজন অভিনেতার? তবে এ কথা শুধু ভাবেননি বরং চাক্ষুষ দেখেছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা। বলা ভালো, নিজের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। ডেবিউ ছবি 'ভিকি ডোনর' এর মুক্তি পাওয়ার পর রাতারাতি লাইমলাইটে চলে আসেন এই তারকা। তবে এরপরে অভিনেতার টানা তিনটি ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। পরপর ফ্লপ ছবি দিয়ে রীতিমতো মুষড়ে পড়ে টিনসেল টাউন থেকে পাততাড়ি গোটানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি। রোজগারের উপায় হিসেবে বিভিন্ন জন্মদিনের পার্টিতে কিংবা নানান অনুষ্ঠানে গান গাওয়া ও নাচার কথাও ভেবে রেখেছিলেন তিনি!
সম্প্রতি, আরবাজ খানের চ্যাট শো 'পিঞ্চ' এসে নিজের মুখেই এ কথা জানালেন স্বয়ং আয়ুষ্মান। শো চলাকালীন আয়ুষ্মানের আত্মজীবনী 'ক্র্যাকিং দ্য কোড: মাই জার্নি ইন বলিউড' নিয়ে কথা তোলেন আরবাজ। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হওয়া ওই আত্মজীবনীর ব্যাপারে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন বড্ড তাড়াতাড়ি আত্মজীবনী লিখে ফেললেন এই অভিনেতা। সেকথা শোনার পর 'বাধাই হো' তারকার যুক্তি ছিল, 'ততদিনে আমার চারখানা ছবি মুক্তি পেয়ে গেছে। ডেবিউ ছবি ছাড়া বাকিরা আদায় করে নিয়েছে ফ্লপের তকমা। হাতে তখন কোনও প্রায় কাজ নেই। অঢেল সময়। তাই ভেবেছিলাম ওই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে বই লিখে ফেলব। তাই সেটাই করেছিলাম।'
এখানেই না থেমে সেকথার জের টেনে 'ভিকি ডোনর' অভিনেতা বলে চলেন,' বর্তমানে যে অবস্থায় আছি হাতে এত কাজ যে বই লেখার সময় নেই। অথচ সেই সময়ে কোনওকিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল না। গড়বড় হয়ে যাচ্ছিল সবকিছু। চন্ডীগড়ের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথাও ভেবে রেখেছিলাম। সঙ্গে এই চিন্তাও চলত অভিনয় চার আর কীভাবে রোজগার করা সম্ভব। ভেবে দেখেছিলাম আমার যখন গানের ব্যান্ড রয়েছে তো বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বার্থডে পার্টিতে গান-টান তো গাইতেই পারি। কিংবা অনুষ্ঠানে নাচতে পারি বা অন্য কোনওভাবে দর্শকদের আনন্দ যদি দেওয়া যায়। এসব চিন্তাভাবনা প্রায় পাকা করে রেখেছিলাম। অথবা নিজের আত্মজীবনী লিখব। মোট কথা বলিউডে পুরোপুরি ব্যর্থ হলে কী কী করে যায় করব তা ভেবে রেখেছিলাম তখন।'
যদিও আশার কত সেসব কিছুই হয়নি। ভাগ্যিস! শেষ দু'তিন বছরে বলিপাড়ার শুধু প্রথম সারির তারকাই নন, বরং দারুন দারুণ সব ছবি দর্শকদের উপহার দিয়ে ছবি সমালোচকদের অকুন্ঠ তারিফ কুড়িয়ে নিয়েছেন আয়ুষ্মান। তাঁর কথায়,'একজন অভিনেতার কাজ তো সেটাই। কীভাবে নিজের ছবি বক্স চলবে সে ব্যাপারে উদয়স্ত চিন্তাভাবনা করার পাশাপাশি পরিশ্রম করা।'