সবাইকে চমকে দিয়ে বড়পর্দায় হাজির হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কোনও খুচরো চরিত্রে নন, রীতিমতো নায়কের ভূমিকায়। ২০০৭ সালে তরুণ মজুমদারের 'চাঁদের বাড়ি' ছবিতে বাবুলের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গত বছর কয়েকের মধ্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত দু'টি ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই শিল্পী-রাজনীতিবিদ। তবে এবার ফের নায়কের চরিত্রে হাজির হতে চলেছেন বাবুল। হিসেবে করে দেখলে পাক্কা ১৪ বছর পর। তবে বড়পর্দায় নন, এবার ছোটপর্দায়। বিধায়ক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরেই ফিরে আসছেন তিনি। স্টার জলসায় তাঁর প্রযোজনায় একটি নতুন ধারাবাহিকেই মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে বাবুলকে।
এক বয়স্ক নায়কের চরিত্রেই দেখা যাবে ৫১ বছরের বাবুলকে। তবে চমকের শেষ এখানেই নয়। অসমবয়সী প্রেমের পটভূমিকায় তৈরি হতে চলা এই ধারাবাহিকে বাউলের বিপরীতে দেখা যাবে 'সাঁঝের বাতি' খ্যাত অভিনেত্রী 'চারু' ওরফে দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়কে। টেলি পাড়ার জোর খবর, ইতিমধ্যেই নাকি বাবুল সুপ্রিয় এবং 'চারু'র প্রাথমিক লুক সেট হয়ে গিয়েছে।এবং তা নিয়ে রীতিমতো শটও দিয়েছেন তাঁরা। সব ঠিক থাকলে তাঁকেই দেখা যাবে নায়িকার চরিত্রে। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ধারাবাহিকের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন বাবুলের সঙ্গে তাঁর স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎকার হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলেননি দেবচন্দ্রিমা।
আরও শোনা যাচ্ছে, ধারাবাহিকে শোনা যাবে বাবুলের গলায় গান। তাই তো সেই দায়িত্ব সম্ভবত জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দিতে চলেছেন রাজ চক্রবর্তী। আর পরিচালনায়? সে খবর অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে জোর ফিসফাস ধারাবাহিকের কাহিনি-চিত্রনাট্য লেখার জন্য নাকি মুম্বই থেকে লেখক-চিত্রনাট্যকাররা আসছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭৪-এ বড়পর্দায় এই অসমবয়সী প্রেম নিয়ে তৈরি হয়েছিল 'বিকেলে ভোরের ফুল'। মুখ্যচরিত্রে দেখা গিয়েছিল উত্তমকুমার এবং সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়কে।