মুক্তির পর থেকেই ভাইরাল বাদশরার 'গেন্দা ফুল'। বাংলা লোকগানের সঙ্গে পঞ্জবি ব়্যাপের ফিউসনে তৈরি 'গেন্দা ফুল'-এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় গানচুরির অভিযোগ উঠেছিল বাদশার বিরুদ্ধে। কারণ বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের লোকশিল্পী রতন কাহারের লেখা গান 'বড়লোকের বিটিলো'-র হুক লাইন 'গেন্দা ফুল'-এ ব্যবহার করলেও শিল্পীকে কোনও ক্রেডিট দেননি বাদশা। যদিও গোটা বিষয় নিয়ে সাফাই দিয়েছেন বাদশা। তবে তিনি এটাও জানিয়েছিলেন রতন কাহারকে আর্থিক সাহায্য করবেন তিনি। প্রতিশ্রুতি মতো গত সোমবার লকডাউনের মাঝেই 'বড়লোকের বিটিলো'-র স্রষ্টার অ্যাকাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকা পৌঁছে দিয়েছেন বদশা। এবার মুম্বই মিররকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বাদশা জানালেন লকডাউন শেষ হলেই রতন কাহারের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সঙ্গে গান রেকর্ড করবেন তিনি। পাশাপাশি এই গানের রয়্যালটিও রতন কাহারকের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন বাদশা।
গানচুরির প্রসঙ্গে বাদশা জানান,'যদি তেমন হত তাহলে তার ফল এতক্ষণে আমরা ভোগ করতাম। অরিজিন্যাল গানটি বহুবার রিক্রিয়েট করা হয়েছে। এবং কোনবারই দুর্ভাগ্যবশত রতনজি কোনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। অতীতে বাংলা ছবিতেও এই গানটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টা খুব দুর্ভাগ্যের, কারণ রয়্যালটি একজন শিল্পীর উপার্জনের একমাত্র রাস্তা। আমি গেন্দা ফুলের রয়্যালটি রতন কাহারের সঙ্গে ভাগ করে নেব'।
ইতিমধ্যেই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে রতন কাহারের সঙ্গে কথা বলেছেন বাদশা। লকডাউন শেষ হলেই সিউরি এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গান রেকর্ড করার কথাও জানিয়েছেন বলিউডের এই জনপ্রিয় ব়্যাপার।
রতন কাহারের মতে, ১৯৭২ সাল নাগাদ এই গানটি লিখেছিলেন তিনি। প্রথমে ১৯৭৬ সালে স্বপ্না চক্রবর্তী এই গান রেকর্ড করেন, তিনিও কোনও ক্রেডিট দেননি রতন কাহারকে। এরপর ২০১৮ সালে বনি-ঋত্বিকা জুটির 'রাজা রানি রাজি' ছবিতেও বড়লোকের বিটিলো গানটির বেশ কিছু অংশ ব্যবহার করা হয়। সেখানেও এটা উল্লেখিত হয়েছিল বাংলা ফোক বলে। ক্রেডিটে রতন কাহারের নাম সেখানে বাদ পড়ে। এছাড়াও বহু ইউটিউব চ্যানেলে যখনই এই গান আপলোড হয়েছে এবং গীতিকারের ক্রেডিটে বরাবরই উল্লেখ করা হয়েছে বাংলা ফোক।
বাদশার গেন্দা ফুল গানের ভিডিয়োয় দেখা মিলেছে জ্যাকলিন ফার্নান্দিজের। বাদশার সঙ্গে গানটি গেয়েছেন পায়েল দেব। ইউটিউবে এই গানের ভিউ সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৫০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।