হিরো আলম, বাংলাদেশের এই তারকার সঙ্গে নিশ্চয় আলাপ করানোর নেই? প্রতিদিনই কোনও না কোনও কারণে খবরে থাকেন তিনি। এবার তাঁর অভিযোগ, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম সহ তাঁর মোট ৯টি সোশ্য়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নাকি হ্যাক করা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট ফেরত চাইলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে চাওয়া হচ্ছে ৫ লক্ষ টাকা। অথচ হিরো আলমের আয়ের মূল উৎসই সোশ্যাল মিডিয়া। বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া তারকা তিনি।
তবে হ্যাকারদের হুমকির মুখে বিন্দুমাত্র ভয় পাননি হিরো আলম। সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। আর অভিযোগ জানানোর ২ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়েছেন আশরাফুল হোসেন আলম। আর এরপরই বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার টিমের সহযোগিতায় নিজের অ্যাকাউন্টগুলি ফিরে পান হিরো আলম। সেকারণে পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি তিনি। ডিবি প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-সিদ্ধি বিনায়ক থেকে দিল্লির গুরুদোয়ারা, জিয়া মামলায় মুক্তির পর ধর্মে মতি সূরজের!
এদিকে এই হিরো আলমকে নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্কও কিছু কম নেই। সোশ্য়াল মিডিয়ার দৌলতে একদিকে যেমন তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কম নেই, তেমনই কিছু লোকজন হিরো আলমকে বিন্দুমাত্র দেখতে পারেন না। বেসুরো রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া থেকে নানান অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের অভিনেতা মামুনুর রশিদ হিরো আলম প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। আর তাই হিরো আলমের মতো একজনের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে! এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, ঠিক তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’ তাঁর এই কথার অবশ্য জবাব দিতেও ছাড়েন নি হিরো আলম। কথাটা তাঁর কানে পৌঁছতেই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ইমোশনাল অ্যাটক করেন তিনি। হিরো আলম বলেন, 'আমি নিজ যোগ্যতায়, পরিশ্রমে আজ আলম থেকে হিরো আলম হয়েছি। আমাকে নিয়ে যাঁদের রুচি হয় না, সেই রুচিবান লোকজন হিরো আলমকে তৈরি করেননি। রুচিবানেরা বাংলাদেশে রুচি আনতে চাইলে হিরো আলমকে মেরে ফেলে দিন। আপনাদের টাকা আছে, শ্রম আছে, অনেক কিছুই আছে কিন্তু আপনারা হিরো আলমকে তৈরি করবেন না। তৈরি করতে পারবেনও না।'