Baisakhi-Sovan: শোভন যদি কোনওদিন বদলেও যায়…’, প্রভাবশালী বলেই সম্পর্ক? কটাক্ষের জবাব বৈশাখীর

Baisakhi-Sovan: ‘শুরুতে অনেকে বলেছে মেয়র-মন্ত্রী বলে আমাদের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু যখন ওর সমস্ত পদ চলে গিয়েছে তখন সবচেয়ে বেশি আমি ওর পাশে ছিলাম’, অকপট বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁদের প্রেমে বিভোর থেকেছো গোটা বাংলা! এখনও সোশ্যাল মিডিয়ার হট টপিক শোভন-বৈশাখীর প্রেম। রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়রের (বর্তমানে প্রাক্তন) সঙ্গে কলকাতার নামী কলেজের অধ্যাপিকার বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা গত কয়েক বছর ধরেই ডানা মেলেছে মিডিয়ায়। কোনও রাখঢাক নেই তাঁদের সম্পর্কে। খুল্লমখুল্লা রোম্যান্সে মজে দু'জনে। বিবাহিত শোভনের নামের সিঁদুরেই এখন সিঁথি রাখান বৈশাখী।

২০২১ সালের দুর্গাপুজোয় এক সংবাদমাধ্যমের লাইভ অনুষ্ঠানে মা দুর্গার সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তখনও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি বৈশাখীর, গত বছর এপ্রিলে মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়। কাগজে কলমে আজও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী শোভনবাবু। তবে গত চার বছর ধরে এক ছাদের নীচে থাকেন শোভন-বৈশাখী। এ যুগের রোমিও-জুলিয়েট তাঁরা। 

বৈশাখী দেবীর কথায়, ‘বিপ্লব করে’ মনোজিৎ মণ্ডলকে বিয়ে করেছিলেন তিনি, তবে সুখের হয়নি দাম্পত্য। বিয়ের দু-মাস পরেই প্রেমিক মনোজিৎকে নিয়ে ভুল ধারণা ভাঙে তাঁর। ‘স্বামী’ শব্দের মধ্যে যে প্রভুত্ব রয়েছে তা মুছে দিয়েছিল মনোজিৎ-এর প্রেমিক সত্ত্বাকে, দাবি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিষাক্ত দাম্পত্য থেকে তাঁকে বার করে এনেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখীর চোখে প্রেম মানেই শোভন। ভালবাসার উপর যখন আস্থা উঠে গিয়েছিল, সেই কঠিন সময়ে তাঁকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। 

এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমি কোনওদিন হিসেব করে সম্পর্ক তৈরি করতে পারিনি। যখন শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে অনেকে বলেছে মেয়র-মন্ত্রী বলে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু যখন ওর সমস্ত পদ চলে গিয়েছে তখন সবচেয়ে বেশি আমি ওর পাশে ছিলাম। আমি ওকে নিজে বলেছি, আমি তোমাকে মানুষ হিসাবে সম্মান করি। আমার চরম সংকটের মুহূর্তে শোভন যেভাবে আমাকে হাত ধরে বার করে এনেছিল তাতে ওর জন্য চূড়ান্ত স্যাক্রিফাইস করতেও আমার খারাপ লাগবে না, শোভন যদি কোনওদিন বদলেও যায়’। 

এরপরই প্রাক্তন স্বামীর কথা টেনে বঙ্গভূমি লাইভকে জানান, তাঁর মধ্যে লড়াইয়ের বীজ প্রথম বপণ করেছিল মনোজিৎ। কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারাক্ষণ পাশে ছিলেন মনোজিৎ। তবে যে মানুষটা একদিকে নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করতে শেখায়, সেই আবার অন্যত্র অধিকার কাড়ার চেষ্টা করে, এটা মেলাতে পারেননি বৈশাখী। ভেবেছেন মনোজিৎ বদলে যাবেন, অপেক্ষা করেছেন, দাম্পত্য সম্পর্ককে সময় দিয়েছেন। কিন্তু তাতে আখেরে লাভ হয়নি। 

ডিভোর্সের পর মেয়ের সম্পূর্ণ কাস্টডি পেয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মেয়ে আর শোভনকে ঘিরেই এখন তাঁর গোটা জগত।