র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়! যিনি নিজে দীর্ঘদিন অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি নিজে যখন ছাত্রী ছিলেন তখন তাঁকেও এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল? হ্যাঁ। তেমনটাই তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।
র্যাগিং প্রসঙ্গে শোভন প্রেমিকা বৈশাখী
মিলি অল আমিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে পড়েছেন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে। কিন্তু কলেজে পড়াকালীন তিনি র্যাগিংয়ের শিকার হন। স্মৃতিচারণ করে তিনি ইমেজ বেঙ্গলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'প্রেসিডেন্সি কলেজে যেদিন আমি প্রথম প্রবেশ করি সেই দিনটা আমার জন্য খুব বিশেষ ছিল। প্রথমদিন মিস করিনি একদমই। আর সেদিনই মুখোমুখি হই এই ইন্ট্রো নামক জিনিসটির। এই ইন্ট্রো ব্যাপারটা যেন সিনিয়রদের হকে পরিণত হয়েছে! সেটা এখনও চলছে। আর এই গোটা জিনিসটা চলে সুপিরিয়র কমপ্লেক্সের থেকে। সাহায্য করার বদলে জুনিয়রদের সঙ্গে সিনিয়ররা একই জিনিস বছরের পর বছর ধরে করে আসছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমার দিনটা আজও মনে আছে। কলেজের প্রথমদিনই ইন্ট্রো নিতে এসছিল সিনিয়ররা। এই বর্বর প্রথা বহু বছর ধরে চলছে কিন্তু আমরা আমাদের সন্তানদের সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শেখাচ্ছি না। কিন্তু কিছু পরিবার অবশ্যই শেখান। আমার মা আমায় প্রথমদিনই বলেছিলেন নিজের আত্মসম্মান কিন্তু সব থেকে বড়, সেটা বজায় রেখো। সেটা বজায় রাখতে যে কোনও পর্যায় যেও, আমরা তোমার পাশে আছি।'
আরও পড়ুন: 'ও মহুলের বাবার থেকেও বেশি', বললেন বৈশাখী, ডটার্স ডে'তে মেয়েকে কী বিশেষ উপহার দিলেন শোভন?
আরও পড়ুন: ৬১-এ পা প্রসেনজিতের! টলিউডের চিরসবুজ পোস্টার বয়ের ফিট থাকার গোপন মন্ত্র জানেন?
তিনি বলেন সিনিয়ররা যখন তাঁদের র্যাগিং করছিল তখন তিনি তাতে আপত্তি করেন। পাল্টা উত্তর দেন তাঁদের। জবাবে পেয়েছিলেন 'দেখে নেওয়ার' হুমকি! সেটারও প্রতিবাদ করেন তিনি কঠোর ভাবে। জানান সেই প্রতিবাদের পর কেউ আর তাঁকে বিরক্ত করেননি। তাই কোথাও র্যাগিং হলে প্রতিবাদ করা জরুরি। রুখে দাঁড়াতে হবে।